মাহবুব হোসেন সারমাত, গোপালগঞ্জ
এনসিপি নেতাদের ওপর হামলায় আরও এক মামলা, আসামি ২৮২
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে বাধা সৃষ্টি করতে টুঙ্গিপাড়ায় মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৮২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এতে আরও ১৫০ জন থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এতথ্য নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম। মঙ্গলবার রাতে টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলাটি করেন। এ নিয়ে এনসিপির ওপার হামলার ঘটনায় চারটি হত্যা মামলাসহ মোট ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নয় মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ৮ হাজার ৬৯০ জন।
আসামিরা হলেন টুঙ্গিপাড়া পৌর যুবলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইফতি জামান পল্লব, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাবুল হাসান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন বিশ্বাস কালু, কুশলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকির মোল্লা, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মমিন মর্তুজা, বর্নি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রোমান মোল্লা সহ অনেকে।
মামলার এজাহার বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে টুঙ্গিপাড়ার (পিরোজপুর-ঢাকা) মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা ও জনগণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করতে থাকে। এছাড়া মহাসড়কের আশে পাশে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করে।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, গত ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে টুঙ্গিপাড়ায় এ মামলার এজাহারনামীয় ২৩ জন সহ মোট ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে হওয়া এ মামলায় নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আর নিরপরাধ কোন ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখেই পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
