নাটোরে ট্রাকচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮

নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাকচাপায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে। চালকসহ মোট আট মাইক্রোবাসযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আড়াইমারি তরমুজ পাম্প এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা সবাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদাহ গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে রয়েছেন আয়োয়ারা বেগম (৭৫), আঞ্জুমানয়ারা বেগম (৭৪), জাহিদুল ইসলাম (৬৫), সেলিনা বেগম (৫৫), ইতি খাতুন (৪৫), আমেনা বেগম (৫০), সীমা খাতুন (৩৫) এবং মাইক্রোবাসের চালক মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার নবীরুদ্দিনের ছেলে সাহাব হোসেন রুবেল (৩৫)। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী নাজিম উদ্দিন নান্নু জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের তরমুজ পাম্প এলাকায় কুষ্টিয়া থেকে সিরাজগঞ্জগামী একটি মাইক্রোবাসকে অন্য একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে চাপা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের চালকসহ পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ও গুরুদাসপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। পরে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে একজনের মৃত্যু হয়। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাজশাহী সাব-ডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিহতরা সবাই তাঁর আত্মীয়। তাঁরা সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার নান্দীরামধু গ্রামে অসুস্থ পুত্রবধূ শাফিয়া বেগমকে দেখতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথেই ঘটে এই দুর্ঘটনা।
বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডলি রানী জানান, আহত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজন মারা যান এবং বাকি দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ও অন্যান্য আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।