রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হওয়ার ঝুঁকি আসলে কতটা?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তির সময়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টিআইবি৷ রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে সেখানে৷ রাজনৈতিক মতানৈক্যের কারণে সংস্কারের প্রত্যাশা পদদলিত হতে পারে- এমন আশঙ্কাও করছে জার্মানিভিত্তিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)৷
সংস্থাটি বলছে, দেশে কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা উপড়ে ফেলার জন্য যা করা দরকার, তা করা হচ্ছে না৷ অন্তর্বর্তী সরকার অ্যাডহক ভিত্তিতে কাজ করছে৷ মানবাধিকার, সংবাদমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি৷
সেইসাথে দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, মব ভায়োলেন্স এবং চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে টিআইবির এ প্রতিবেদনে৷
সোমবার প্রকাশিত ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে টিআইবি বলেছে, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রভাব গত এক বছরে অনেক বেশি বেড়েছে৷ তথ্য প্রকাশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এখনো বাধার মুখে রয়েছে৷ অনেক ক্ষেত্রে সহিংসতা ও বলপ্রয়োগের কারণে নারীর অধিকার, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে, যা বৈষম্যবিরোধী চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক৷
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সোমবার (৪ আগস্ট) প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়৷ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাহজাদা এম আকরাম ও মো. জুলকারনাইন৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘সরকারে তথ্য প্রকাশে সমন্বয়হীনতা ও গোপনীয়তার প্রবণতা রয়েছে৷ ভারতের অবন্ধুসুলভ আচরণের ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সংকট ও তার ফলে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব অব্যাহত৷”
টিআইবি বলছে, রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারের অস্পষ্ট অবস্থান ও তথ্য প্রকাশে ঘাটতি রয়েছে৷ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অবন্ধুসুলভ আচরণ, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ; সীমান্তে হত্যা ও ‘পুশইন’অব্যাহত; বাণিজ্যে বাধা আরোপ; কূটনৈতিক টানাপোড়েন; শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানোও সরকারের ঘাটতি বলে মনে করে টিআইবি৷
আইনশৃঙ্খলার অবনতি
এক বছরের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে প্রতিবেদনে জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে৷ অব্যাহত রয়েছে খুন, ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, ধর্ষণ, লুটপাট, অরাজকতা৷ আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা (মব জাস্টিস), গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মনে করে টিআইবি৷
ঢালাওভাবে মামলায় আসামি হিসেবে নাম দেওয়া, গ্রেপ্তার বাণিজ্যের অভিযোগ, রাজনৈতিক চাপ বাড়লে গ্রেপ্তার বৃদ্ধির অভিযোগ বিচারবহির্ভূত হত্যা, হেফাজতে মৃত্যুও অব্যাহত রয়েছে৷
আন্দোলন দমন করতে পুলিশের কার্যক্রমে বৈষম্য, কোনো পক্ষের প্রতি নমনীয় মনোভাব, কোনো পক্ষের ওপর নির্যাতন হয়েছে৷
চ্যালেঞ্জের মুখে সরকার
পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বিচার, নির্বাচন, রাষ্ট্র সংস্কারসহ নানা ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়া হলেও অন্তর্বর্তী সরকার বিগত এক বছরে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে৷
সুশাসনের আলোকে বিচার ও প্রশাসনসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতে বেশ কিছু ঘাটতি দেখছে টিআইবি৷ এ কারণে দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের যে প্রত্যাশা ছিল, তা বাস্তবে পূরণ হয়নি৷
সংস্কার কমিশনগুলো যেসব সুপারিশ দিয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই৷ কোথাও কোথাও কিছু সুপারিশ বেছে নেওয়া হয়েছে৷ আবার অনেক জায়গায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ সরকার কোনো স্পষ্ট রোডম্যাপ বা পরিকল্পনা প্রকাশ না করায় বিভিন্ন সময় জনগণ ও অংশীজনদের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে৷
৭০ শতাংশ মামলায় ‘সন্তোষজনক অগ্রগতি’
প্রতিবেদনে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় জড়িত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে৷
সরকার পতন-পরবর্তী ১১ মাসে সারাদেশে পুলিশের বিরুদ্ধে ৭৬১টি মামলায় আসামি এক হাজার ১৬৮ পুলিশ৷ এর মধ্যে ৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী, হত্যার ইন্ধনদাতা ও নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে সারাদেশে মামলা হয়েছে৷ দায়ের হওয়া মামলা এক হাজার ৬০২টি৷এর মধ্যে হত্যা মামলা ৬৩৮টি৷ এসব মামলায় পতিত সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আনুমানিক ৮৭ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ৭০ শতাংশ মামলার তদন্তে ‘সন্তোষজনক অগ্রগতি’রয়েছে৷ ৬০-৭০টি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে আছে৷
এক বছর হলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে৷ এর মধ্যে অভিযোগ এসেছে ৪২৯টি ও মামলা ২৭টি৷ শেখ হাসিনাসহ ২০৬ জন আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭৩ জনকে৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের আগেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ তবে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজে ধীরগতি আছে৷ জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারপ্রক্রিয়া চলমান৷
টিআইবি বলছে, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে একধরনের তড়িঘড়ি বা ‘অ্যাডহক’মনোভাব দেখা গেছে৷ প্রশাসন চালাতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই সরকারের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ও সিদ্ধান্তহীনতা স্পষ্ট হয়েছে৷ প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে দলীয় প্রভাবমুক্ত করার চেষ্টা করা হলেও বাস্তবে একদলীয়করণ থেকে সরে এসে আরেক দলীয় প্রভাব প্রতিষ্ঠার প্রবণতা দেখা গেছে৷ এতে প্রশাসনে অস্থিরতা ও কার্যকারিতা হ্রাস পেয়েছে৷
গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন পক্ষের নিজস্ব এজেন্ডা সামনে আসায় মতবিরোধ তৈরি হয়েছে৷ ফলে রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্খা বাস্তবায়নের পথ আরো জটিল হয়ে পড়েছে৷ মৌলিক সংস্কারের প্রশ্নে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদও স্পষ্ট৷
গবেষণা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীরা চাঁদাবাজি, পরিবহণ টার্মিনাল দখল এবং ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়েছে৷
সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘‘সংস্কারের বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে তার কোনো রূপরেখা নিশ্চিত নয়৷ ফলে সংস্কারের প্রত্যাশা পদদদিলত হওয়া ও রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে৷”
রাজনৈতিক দলের মধ্যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব
টিআইবির গবেষক মো. জুলকারনাইন প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘আমরা অনেক রাজনৈতিক দলের মধ্যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব দেখতে পেয়েছি৷ রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে৷ এ কারণে তারা অপকর্মে জড়িত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না৷ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যেও এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার প্রবণতা রয়েছে৷ আমরা দলীয় লোকদের মধ্যে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রবণতাও দেখেছি৷”
একই অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের জন্য বহু উদ্যোগ নিলেও তার অনেকগুলোই অ্যাডহক বা সাময়িক প্রকৃতির এবং বাস্তবায়নের জন্য কোনো সুস্পষ্ট রূপরেখা নেই৷ অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের চাপের কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে৷”
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি যে, একেবারে নতুন গঠিত একটি রাজনৈতিক দল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু সদস্য দুর্নীতি ও স্বার্থের সংঘাতে জড়িত৷ সুতরাং, আমরা বলতে পারি যে, আমরা একটি স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছি, কিন্তু স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে উপড়ে ফেলার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তা যথেষ্ট করছি না৷”
টিআইবির প্রতিবেদনে বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও সরকারের কার্যক্রম নিয়ে মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতার কথা, রাজনৈতিক দলগুলোর বেপরোয়া কর্যক্রম এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা বলছেন৷ টিআইবির করা গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফলকে চলমান অবস্থার বাস্তব প্রতিফল বলে মনে করছেন কেউ কেউ৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘‘দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচন নিয়ে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে৷ এক গ্রুপ দ্রুত নির্বাচন চায়, আরেক গ্রুপ চায় নির্বাচন পেছাতে৷ আর এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের অস্বচ্ছতা এবং বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতের কারণে৷ সরকারের মধ্যেও একটি গ্র্রুপ নির্বাচন পিছিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়৷ সংস্কার বা প্রয়োজনীয় কাজে সরকার যথাসময়ে মনোযোগী হয়নি৷ ফলে, এক বছরে মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছে৷ মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে৷ আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, মব ভায়োলেন্স সব মিলিয়ে টিআইবি যা বলছে, তা বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন৷”
ড. জাহেদ উর রহমান কথা, ‘‘এই সরকারের ওপর জামায়াতের প্রচণ্ড প্রভাব আছে৷ দুই তরুণ উপদেষ্টা তো নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির জন্য কাজ করছে৷ বিএনপিরও প্রভাব আছে৷ ফলে, সরকারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ সরকার যে সংস্কারগুলো দ্রুত করতে পারতো, তা করেনি৷ আর এক বছরেও নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি৷ সব মিলিয়ে পুরো দেশই একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে৷”
টিআইবির গবেষণার তথ্য ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে মানবাধিকার কর্মী এবং গুম কমিশনের সদস্য নূর খান বলেন, ‘‘টিআইবি যা বলেছে, তা উপেক্ষা বা অস্বীকার করার সুযোগ নাই৷ মানুষ যে আশা করেছিল, যে আস্থা রেখেছিল, সেই জায়গায় যাওয়া যায়নি, থাকাও যায়নি৷ মানুষের চোখে এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা৷ এক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরেও দেশ পরিচালনায় মানুষ যে সফলতার আশা করেছিল, তা সুদূর পরাহত হয়েছে৷ মানবাধিকার, গণতন্ত্র কোনো দিকেই আশা দেখছি না৷ গণতন্ত্রের প্রথম ধাপ হলো, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটা অস্পষ্ট রয়ে গেছে৷ মব ভায়োলেন্স আছে, বাকস্বাধীনতা,সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে৷ উগ্রবাদের আস্ফালন বেড়েছে৷ আর রাজনৈতিক সংকটের তো আশঙ্কা আছেই৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতবিরোধ বাড়ছে৷ নির্বাচন নিয়ে ধূসরতার কারণে এটা হচ্ছে।’’
জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন
এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার উপায় সম্পর্কে ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কর্তৃত্ববাদের পুনর্বিকাশ দেশবাসী চায় না৷ আমরা যদি কর্তৃত্ববাদ বিদায়ের লক্ষ্য নিয়ে সবাই একতাবদ্ধ হতে পারি এবং লক্ষ্যে অবিচল থাকতে পারি, তাহলে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারি৷ আমাদের সামনে বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের জঞ্জাল আছে৷ সেটা সরানো সহজ নয়৷ কিন্তু আমরা সবাই- রাজনৈতিক দল, যারা এখন সরকারে আছেন, দেশের মানুষ, নাগরিক সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে কর্তৃত্ববাদের অবসানে কাজ করি, তাহলে আমাদের পক্ষে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব৷”
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘‘জাতীয় ঐকমত্যের যে দলিল প্রকাশ করা হবে, সেটার একটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকবে৷ পুরো জাতির কাছে এটা থাকবে৷ এটা পুরো জাতির দলিল৷ এখন যারা ক্ষমতায় যাবে, যারা ক্ষমতার বাইরে থাকবে - সবার দায়িত্ব হবে এই দলিল বাস্তবায়ন করা৷ তারা এটা না করলে দেশের মানুষ চাপ সৃষ্টি করতে পারবে৷ আসলে কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে হলে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই৷”