আবাসিক হল থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বের করতে জাবিতে অভিযান
আসন্ন জাকসু নির্বাচন সামনে রেখে আবাসিক হল থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বের করে দিতে অভিযান চালিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে অভিযানের সূচনাতেই হোঁচট খেয়েছে কর্তৃপক্ষ। হল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীরা।
তাদের বিক্ষোভ ও তোপের মুখে অভিযান শেষ না করেই চলে যেতে বাধ্য হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড এ কে এম রাশিদুল আলম। ফিরে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের গাড়িতে কয়েকজন মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী আঘাত করে। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শনিবার (১৬ আগস্ট) রাত থেকে শুরু হয় এই অভিযান।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, কামালউদ্দীন হলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব, সহ-উপাচার্য সোহেল আহমেদ ও মাহফুজুর রহমানসহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়, হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের রুমে রুমে গিয়ে তালা ভাঙা হয়। বিভিন্ন রুম সিলগালা করা হয় এবং অনেককে আজ সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় হল প্রশাসন।
এসময় ছাত্রত্ব শেষ হওয়া ৪৭ ও ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনের মুখোমুখি অবস্থান নেন এবং হল ছাড়বেন না বলে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তাদের সাথে অন্যান্য হলের ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। কোন অছাত্র হলে থাকতে পারবে না- এমন নিশ্চয়তা তারা প্রশাসনের কাছে চান। তবেই হল ছাড়বেন বলে জানান।
তাদের অভিযোগ, ৩৯ ও ৪০ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা এখনো পর্যন্ত কেউ কেউ হলে থাকেন। তাদের বের না করে প্রশাসন জুনিয়রদের বের করতে অভিযান চালাচ্ছে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১০ আগস্ট তফসিল ঘোষণাকালে নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি আবাসিক হলের ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে। এ নির্দেশনা অনুযায়ী গত রাতে কামালউদ্দিন হলে প্রাথমিক এ অভিযান পরিচালনা করে সাবেক শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করতে উদ্যোগ নেয় হল প্রশাসন।
যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম বলেন, হলে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তাই অভিযান পরিচালনা করেছি। একে একে সব হলে অভিযান পরিচালনা করা হবে। শনিবার আমাদের হলে অভিযান পরিচালনার সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে এবং ট্রেজারার স্যারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।