দুদকের মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা কারাগারে

জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন তারা। তবে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান এই নির্দেশ দেন।
আত্মসমর্পণ করা ৬ কর্মকর্তা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বিলাল আহমদ চৌধুরী, সেকশন অফিসার বেলাল উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ, মো. রেদোয়ান, আব্দুল মজিদ ও তানভীর আহমদ। তারা সবাই দুদকের চার্জশিটভুক্ত আসামি।
দুদকের আইনজীবী লুৎফুল কিবরিয়া শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুদকের চার্জশিটভুক্ত ৬ আসামি মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ৫৮ জনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। পরে ২৪ এপ্রিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে ইউজিসি ২০২৩ সালে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল মামলা করে দুদকের সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
মামলায় তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরী ছাড়া আরও ৫৬ জন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।