দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে দুদকের দুই উপ-পরিচালককে বরখাস্ত

দায়িত্ব অবহেলা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই উপ-পরিচালককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সংস্থাটি। তারা হলেন দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশ ও একই কার্যালয়ের আরেক উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল। দুদকের একটি সূত্র এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি করেছেন।
উপপরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে আবাসন প্রকল্প রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডকে প্লান পাস করার অভিযোগের অনুসন্ধান প্রতিবেদন সময়মতো না দাখিল করার কারণে এ ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন।
দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, ওই অভিযোগের বিষয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে আহসানুল কবীর পলাশকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট নথি বিষয়ক কোনো প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় এবং সময় বৃদ্ধির আবেদনও না করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মচারী বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ১৬ জুলাই কমিশন সভায় ৪৩(১) বিধি মোতাবেক তার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বরখাস্ত থাকা অবস্থায় তিনি প্রচলিত বিধি অনুযায়ী খোরাকী ভাতা পাবেন। এ আদেশ গত ৬ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
অপরদিকে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত অপর আদেশে বলা হয়, উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল ওয়াসার ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের পিডি ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান এবং ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মাঠ পর্যায়ে লোকবল নিয়োগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে আঁতাত করে দুর্নীতি করা সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তাকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তিনি নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল না করায় এবং সময় বৃদ্ধির কোন আবেদন না করায় এবং অভিযোগের গুরুত্ব ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮ মোতাবেক অদক্ষতা, দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং অসদাচরণের দায়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।