সবজির দামটা বেশি কিন্তু আলুর দাম একেবারেই কম : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘বৃষ্টির কারণে অনক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এই সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়ে গেছে। কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু এখন আবার আল্লাহ দিলে রোদ উঠছে। এরকম যদি রোদ উঠে তাহলে আবার সবজির দাম কমে আসবে। সবজির দামটা বেশি কিন্তু আলুর দাম আবার একেবারেই কম।’
আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের বিএডিসি হিমাগার পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, যে কৃষকরা আলু করছে তারা এবার বিরাট লসের মধ্যে আছে। আমরা এবার চেষ্টা করতেছি, সরকারি মাধ্যমে কিছু আলু ক্রয় করব। একই সঙ্গে কোল্ট স্টোরেজ পর্যায়ে আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দেব। যেন কৃষকরা বেশি লোকসানের ভেতর না পড়ে। এবার আলু অনেক বেশি উৎপাদন হয়েছে। যে পরিমাণ আলু রপ্তানির কথা ছিল সে পরিমাণ রপ্তানি করতে পারিনি।
অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শুধু নির্বাচন উপলক্ষ্যে না, দেশে অন্য সময়ও যেন কোনো ধরনের অস্ত্র ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আজকেও কিন্তু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার একটা চলমান প্রক্রিয়া। ডেইলি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। ইলেকশনের আগে আমরা আশা করছি প্রায় সব অস্ত্র আমরা উদ্ধার করে ফেলবো।
নির্বাচনের সময় বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র ঢোকার একটা প্রবণতা আগেও দেখা গেছে, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে এই ধরনের প্রবণতা আটকানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুধু নির্বাচনে না, অন্য সময়ও যেন দেশে কোনো অস্ত্র ঢুকতে না পারে এজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি যেভাবে নেওয়া দরকার আমরা সেভাবেই নিচ্ছি। আল্লাহ দিলে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন করতে আমাদের কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। আমাদের চিফ এডভাইজার যে তারিখ বলে দিয়েছেন আমরা ওইভাবে ইলেকশন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।
নির্বাচন উপলক্ষে ফেসবুকে নানান ধরনের প্রোপাগান্ডার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখন দেশ হলো স্বাধীন দেশ। আপনারা কিন্তু আগে অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারেননি। এখন আপনারা সবকিছু প্রকাশ করতে পারেন। এজন্য যার যার মত সে প্রকাশ করতে পারে। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। মানে জনগণ যেই সময় নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, পলিটিক্যাল পার্টিগুলো যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, সেই সময় দেখবেন এইসব কিছুতে কেউ কোনো বাধা দিতে পারবে না। জনগণ আমাদের মেইন ফ্যাক্টর। যেহেতু সবাই নির্বাচনমুখি হয়েছে নির্বাচন করতে কোনো অসুবিধা হবে না।
সীমান্ত কতটা নিরাপদ? জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আপনারা দেখছেন আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ। সীমান্ত নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। আমাদের জনগণও কিন্তু সাংঘাতিক সচেতন। বর্ডার বেল্টে আমাদের যেইসব জনগণ আছে তারা কিন্তু খুবই সচেতন।