স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মানিক মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক সালমা খাতুন এই কারাদণ্ডাদেশ দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মানিক মিয়া উপজেলার গাবরগাড়ী গ্রামের ছহির উদ্দিন মির্জার ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মানিক মিয়া পলাতক রয়েছেন। মামলার অপর দুই আসামি হেনা খাতুন ও হানিফ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তাড়াশ উপজেলার দবির সরকারের মেয়ে রেখা খাতুনের সঙ্গে গাবরগাড়ী গ্রামের মানিক মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ টাকা ও উপহারসহ তাকে মোট ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে বিয়ের পর ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন মানিক। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। একপর্যায়ে ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে রেখাকে হত্যা করেন মানিক ও তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় রেখার ভাই হাফিজুর রহমান সরকার বাদী হয়ে মানিক, তার ভাই হানিফ ও মা হেনা খাতুনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা করেন। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ মানিক মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।