মধুপুরে পেঁপে চাষে ৪০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের সম্ভাবনা

আনারসের রাজধানী খ্যাত টাঙ্গাইলের মধুপুর পাহাড়ি গড়াঞ্চলে এবার পেঁপের বাম্পার ফলন হয়েছে। তুলনামূলক উঁচু জমি ও অনুকূল আবহাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে পেঁপে আবাদ।
মধুপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর এক হাজার ৫৬ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হয়েছে। উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩৫-৪০ মেট্রিক টন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ শত কোটি টাকা। উপজেলাজুড়ে পেঁপে চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি হচ্ছে টপ লেডি জাতের।
কৃষকরা জানান, বিঘাপ্রতি প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হলেও দেড় থেকে দুই লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করা যায়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা জমি থেকেই পেঁপে কিনে নিয়ে যান।
রানিয়াদ গ্রামের পেঁপে চাষি মজনু মিয়া বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর পেঁপের দাম ভালো। এ বছর আমি ৩ বিঘা জমি ২ বছরের জন ২ লাখ টাকা দিয়ে লিজ নিয়েছি। সেখানে ১৫০০ পেঁপের চারা রোপণ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে ৫ লাখ টাকা। আশা করছি ১০ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবো।
পেঁপে ব্যবসায়ী হাজিজুল জানান, আমি প্রতি বছর ১০-১২ লাখ টাকার পেঁপে বাগান কিনি। এ বছর আমি ১৭ লাখ টাকার পেঁপে বাগান কিনেছি। প্রতি গাছে দেড় থেকে দুই মণ করে পেঁপে ধরেছে। আশা করছি, এ বছর ভালো লাভ থাকবে।
মধুপুর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, আমার দায়িত্বরত এলাকা মিজাবাড়ী ইউনিয়নে ছোট বড় মিলে ১২টি পেঁপের বাগান রয়েছে। আমি এসব কৃষি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কৃষি পরামর্শ প্রদান করে থাকি। যাতে কৃষকরা পেঁপের অধিক ফলন পায় এবং ভালো দামে পেঁপে বিক্রি করতে পারে।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা জানান, মধুপুরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর পেঁপের অধিক ফলন হয়েছে । চারা রোপণ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। মধুপুরের তিন ধরনের পেঁপে উৎপাদন হয়- টপ লেডি, রেড লেডি ও সুইট লেডি। মধুপুরে টপ লেডি পেঁপে বেশি চাষ হয়।