লালমনিরহাটে জনপ্রিয় হচ্ছে চুইঝাল চাষ

খুলনা অঞ্চলের জনপ্রিয় মসলা চুইঝাল এখন লালমনিরহাটেও ব্যাপক হারে চাষ হচ্ছে। চাহিদা ও লাভজনকতার কারণে প্রতিটি গ্রামে বাড়ছে এর চাষ। স্থানীয়ভাবে ‘চইপান’ নামে পরিচিত এ লতা জাতীয় উদ্ভিদ সুপারি, নারিকেল বা ফলদ গাছে বেয়ে ওঠে। আলাদা জমি, সার বা কীটনাশক ছাড়াই চাষ সম্ভব হওয়ায় কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। চারা রোপণের ২-৩ বছরের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয় চুইঝাল। আকারভেদে প্রতিটি গাছ ৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
মদাতি ইউনিয়নের কৃষক মনিরুজ্জামান জানান, ৩০টি গাছে চারা রোপণ করেছেন তিনি। তিন বছর পর দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয়ের আশা করছেন।
সদর উপজেলার আব্দুল জলিল বলেন, ১৫ বছরে প্রতিটি গাছ থেকে ১২ থেকে ২০ হাজার টাকার চুইঝাল বিক্রি করেছি। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ক্রেতারা আসেন।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, লালমনিরহাটে বর্তমানে ২৬ হাজার চুইঝাল গাছ রয়েছে। জেলার প্রায় ৫০০ পরিবার এ মসলার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রতিবছর প্রায় ১০ কোটি টাকার চুইঝাল কেনাবেচা হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার তুষার কান্তি রায় বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে চুইঝাল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে। বিনামূল্যে ও অতিরিক্ত জমি ছাড়াই চুইঝাল চাষ হওয়ায় দিন দিন এর চাষ বাড়ছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইখুল আরিফিন বলেন, লাভজনক এ উদ্ভিদটি চাষে কৃষকদের উৎসাহ, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছে জেলা কৃষি বিভাগ।