ধামরাইয়ে অটোরিকশা চালক হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২

ধামরাইয়ে অটোরিকশা চালক সায়েদুর রহমান হত্যাকাণ্ড ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সদর আলী ও আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা জেলা পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত সংস্থাটি জানায়, পরকীয়ার জেরেই এই ছিনতাই ও খুনের ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তার আসামিরা ইতোমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে।
পিবিআই জানায়, ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর সকালে ধামরাইয়ের বাইশাকান্দার কেষ্টখালী গ্রামের একটি ধানক্ষেতের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তদন্তে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি পেশায় অটোরিকশা চালক সায়েদুর রহমান। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইকে দেওয়া হয়।
পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার কুদরত-ই-খুদা জানান, তথ্য-প্রযুক্তি এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যা ও অটো ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সদর আলী ওরফে সোহরাবকে (৪৭) গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঘটনার মূল আসামি আলমগীরকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিনই তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
আসামিদের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, আসামি সদর আলী, আলমগীর ও জুয়েল একই বাসায় পাশাপাশি রুমে বসবাস করতেন। একপর্যায়ে সদর আলীর স্ত্রীর সঙ্গে জুয়েলের অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়। আলমগীরের সহায়তায় জুয়েল তাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সদর আলীর স্ত্রী ফিরে এলে টাকার প্রয়োজনে সদর আলী, আলমগীর ও জুয়েল অটোরিকশা চালক সায়েদুর রহমানের অটোরিকশা ছিনতাই করে বিক্রির পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা সায়েদুর রহমানকে গান শোনার অজুহাতে বাইরে নিয়ে যায়। ফেরার পথে ধামরাইয়ের নির্জন স্থানে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে, হাত ও পায়ে রশি দিয়ে বেঁধে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর তারা সায়েদুর রহমানের অটোরিকশাটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এরপর নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়।