মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১০

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের চর বলাকী গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ৭ থেকে ৮টি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন মন্টু ও যুবলীগনেতা নাজমুল ইসলামের অনুসারীদের সঙ্গে বিএনপিনেতা মাহফুজ ও আনারের অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত গ্রুপটি বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
আহত বিএনপিকর্মী শুক্কুর আলী বলেন, আমরা কয়েকজন স্থানীয় বিএনপির পার্টি অফিসে বসে ছিলাম। এ সময় আওয়ামী লীগনেতা আব্দুল মতিন মন্টু, গিয়াসসহ বহিরাগত লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এরপর তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
শুক্কুর আলী আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা আতঙ্ক ছড়াতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে এবং আহতদের গ্রাম থেকে বের হতে বাধা দেয়। আহত আসিফ ও নুর ইসলামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- শুক্কুর আলী (৫০), আসিফ (২৫), নুর ইসলাম (৫১), জান্নাত (২২) ও শাহাদাত (২৫)।
এ বিষয়ে হোসেন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন মন্টু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আমরা পলাতক। আমরা এলাকায় গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করব, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তারা নিজেদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আজকেও তারা একই নাটক সাজিয়েছে। বরং তাদের হামলায় আমাদের লোকজন আহত হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন পান্নু বলেন, আওয়ামী লীগনেতা আব্দুল মতিন মন্টু, গিয়াস, নাজমুল ইসলাম ও তাদের অনুসারীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। আমরা খবর পেয়েছি অন্তত ৭-৮টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য গ্রামের বাইরে যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। শুনেছি কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।