মেধা ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মেধা ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। ফ্লাইওভার, উড়াল সেতুর মতো লোক দেখানো উন্নয়ন দিয়ে জাতির ভিত্তি তৈরি হয় না।
আজ রোববার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আইইউটি’র রেসিং কার নির্মাতা গবেষক দলকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মেধাভিত্তিক বৃত্তি ও উৎসাহ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা অবিশ্বাস্য। রেসিং কার তৈরি করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাওয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) শিক্ষার্থীদের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গৌরব। সুযোগ পেলে বাংলাদেশের তরুণরাও অসাধ্য সাধন করতে পারে।
মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই কাজকে ‘চারটেখানি কথা নয়’ উল্লেখ করে করে রিজভী বলেন, ‘বিশেষ করে, যখন তারা চীনের মতো প্রযুক্তিতে উন্নত একটি দেশে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছে এটা অত্যন্ত ভালো খবর। আমরা যদি একটু সুযোগ পাই, তাহলে আমাদের ছেলেরাও অসাধ্য সাধন করতে পারে।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘শুধু আইইউটি নয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অষ্টম শ্রেণির রুমন ও মিথুন নামের দুই স্কুল ছাত্রের মঙ্গল গ্রহে প্লান্টেশন ও ভেজিটেশন নিয়ে গবেষণার কথা শুনেও আমরা হতবাক ও মুগ্ধ হই। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই বিএনপি পরিবার ছুটে গিয়েছিল সেই ছাত্রদের উৎসাহ দিতে।’
দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপিনেতা রিজভী বলেন, বাংলাদেশে যেখানে শিক্ষার মান উন্নত নয় এবং অবকাঠামোগত দিক আশপাশের দেশের তুলনায় দুর্বল, সেখানে রেসিং কার বা উচ্চ প্রযুক্তির গবেষণা করা অত্যন্ত কঠিন। দেশে দীর্ঘদিন ধরে উপযুক্ত শিক্ষা কার্যক্রমকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রায় ৪০ শতাংশ বিদ্যালয়ে কোনো ধরনের প্রযুক্তি-নির্ভর শিক্ষা কার্যক্রম নেই, যা গ্রামীণ অঞ্চলে আরও তীব্র।
বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৫-১৬ বছর ধরে জ্ঞানচর্চা ও বিজ্ঞানচর্চার কোনো সুযোগ না থাকায় আজ মাস্তান তৈরি হচ্ছে, গুন্ডা তৈরি হচ্ছে। যদি সত্যিকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা থাকত, তাহলে এমন পরিস্থিতি হতো না।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অত্যন্ত গভীর অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে দেশের তরুণদের এই প্রতিভাগুলো অনুসন্ধান করছেন এবং তাদের উৎসাহ দিচ্ছেন। প্রথম পাতায় না আসা এই খবরগুলোও তারেক রহমানের দৃষ্টি এড়ায় না।
সবশেষে রিজভী আহমেদ আইইউটির শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।