বিএটির বিরুদ্ধে ১,৮৬৩ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ

ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো (বিএটি) বাংলাদেশ আট মাসে ১ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকার ভ্যাট ও সম্পূরক কর ফাঁকি দিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিআরের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বিভাগের লার্জ ট্যাক্সপেয়ার ইউনিট (এলটিইউ) ২০১৭ সালের জুন থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে বিএটি বাংলাদেশের এই কর ফাঁকি সনাক্ত করেছে। নিম্নমানের সিগারেটের কম বিক্রয় মূল্য দেখিয়ে এই কর ফাঁকি দেওয়া হয়।
এলটিইউ-ভ্যাট কমিশনার মো. মতিউর রহমান বাসসকে জানান, এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে তারা এনবিআরের সহায়তা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, এলটিইউ-ভ্যাট প্রথমে এনবিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী এগিয়ে যাবে এবং এরপর ফাঁকি দেওয়া কর আদায়ে বিএটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ডিমান্ড নোটিশ পাঠানো হবে। বিএটি বাংলাদেশ নিম্নমানের দশটি স্টিকের প্যাকেট ২৭ টাকা করে বিক্রি করে। অথচ রাজস্ব কর্তৃপক্ষ ৩৫ টাকা করে বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়। কোম্পানি ২০১৭ সালের ১ জুন থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নির্দেশনা মেনে চলেনি এবং ১ হাজার ৮৬৩ দশমিক ৮০ কোটি টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক কর ফাঁকি দেয়।
এলটিইউ-ভ্যাট কমিশনার বলেন, কোম্পানি সময়মতো ফাঁকির অর্থ পরিশোধ না করলে কর্তৃপক্ষ ভ্যাট আইন-১৯৯১ এর সেকশন ৫৩ ধারা অনুযায়ী এই টাকা আদায় করতে কোম্পানির ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করতে পারে।