ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচকের সর্বোচ্চ উত্থান

শেয়ারবাজারে মন্দাভাব কেটে টানা চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বগামী ভাব এসেছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে আজ রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ও মূল্যসূচকের উল্লম্ফন দেখা গেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই প্রবণতা দেখা গেছে।
আজ বেলা ১২টায় ডিএসইএক্স ১২০.৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৪২৪২.৯৪ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৬০৮.৮৮ পয়েন্টে। ওই সময়ে লেনদেন হয় ২২৬ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ।
লেনদেন শুরুর পর থেকেই শেয়ারের ক্রয়াদেশ বাড়তে থাকে। এ প্রবণতা ছিল শেষাবধি। এতে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বাড়ে। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৫৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৪২৭৭ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্টে। অন্য দুটি সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ৫৮ পয়েন্ট ও শরিয়াহ সূচক বাড়ে ৩১ পয়েন্ট।
বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক স্থিতিশীল হয়ে এসেছে। আর দীর্ঘদিন নিম্নগামী প্রবণতা থাকায় শেয়ারের দাম অনুকূল পর্যায়ে এসেছে। পাশাপাশি আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে প্রণোদনার প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার লেনদেনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
বাজারের গতি পরিবর্তনে সক্ষম ব্যাংকিং খাতের ৩০টি কোম্পানির মধ্যে তিনটি বাদে বাকি শেয়ারগুলোর দাম বেড়েছে। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একটি বাদে ২২টি শেয়ারের দাম বেড়েছে।
আজ ১৩ কোটি ২৫ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০টি সিকিউরিটি ৫২০ কোটি ৮১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ১০১ কোটি ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। গত কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ৪১৯ কোটি ৩১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।
আজ মোট লেনদেন হওয়া ৩০৯টি সিকিউরিটির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৮৬টির, কমেছে ১৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল পাঁচটির দাম। লেনদেন হওয়া ‘এ’ ক্যাটাগরির ২৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ২৩৯টির দাম বেড়েছে।
আজ সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক (সিএএসপিআই) বেড়েছে ৪৮৮ পয়েন্ট। আর সিএসই-৩০ সূচক ৩৮৫ পয়েন্ট বেড়েছে।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ১৮ লাখ ৮১ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। লেনদেন হওয়া ২৪৬টি সিকিউরিটির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে সাতটির ও অপরিবর্তিত ছিল তিনটির দাম।
ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার, এসিআই ফর্মুলেশন, এমজেএল বিডি, সাইফ পাওয়ার, ইফাদ অটোস, এসিআই লিমিটেড, শাহজিবাজার পাওয়ার, আরএকে সিরামিকস, ওয়েস্টার্ন মেরিন ও কেপিসিএল।
দাম বাড়ায় এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ফাইন্যান্স প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেক্সিমকো ফার্মা, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, সুহৃদ টেক্সটাইল, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স ও সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স।
বেশি দাম হারানো ১০টি কোম্পানি হলো- তৃতীয় আইসিবি, এসিআই ফর্মুলেশন, দুলামিয়া কটন, জেমিনি সি ফুড, বার্জার পেইন্টস, রেকিট বেনকিজার, ম্যারিকো ইন্ডাস্ট্রিজ, এপেক্স ফুটওয়্যার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস ও মডার্ন ডায়িং।