কার্যকর, স্বচ্ছ ও গতিশীল বিজিএমইএ গড়তে চাই : রাশেদুর রহমান

পুলম্যান নিটওয়্যার প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করে চাকুরির পেছনে তিনি ছোটেননি। দেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সম্মানজনক কাজ ও কর্মসংস্থান তৈরির স্বপ্নে বিভোর রাশেদুর রহমান আত্মনিয়োগ করেন গার্মেন্টস ব্যবসায়। ইতোমধ্যে তৈরি পোশাক শিল্পে এনেছেন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্ভাবনী শক্তি। উদ্যমী এবং দূরদর্শী এই উদ্যোক্তা এখন সফল। পোশাক শিল্পের উন্নয়ন, শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও মালিকদের উন্নয়নে কাজ করতে চান বড় পরিসরে। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) আগামী নির্বাচনে (২০২৫-২৭) সম্মিলিত পরিষদের একজন প্রার্থী। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ মে, শনিবার।
মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান স্বপ্ন দেখছেন বিজিএমইএর নির্বাচনে বিজয়ী হলে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, ন্যায়নিষ্ঠা ও নিরলসভাবে কাজের মাধ্যমে ডিজিটাল বিজিএমইএ গঠনসহ মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিংকে বৈশ্বিক বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবেন। সম্মিলিত চেষ্টায় গড়বেন অত্যাধুনিক বিজিএমইএ, যেখানে থাকবে জবাবদিহিতা, শ্রমিকদের অধিকার ও মালিকদের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ। সরকারের কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা আদায়ে থাকবে কর্মপরিকল্পনা। তৈরি পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান। তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে তার আগামীর কর্মপরিকল্পনার কথা জানান, যেখানে বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, প্রচলিত দেশের বাইরেও বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানোতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি চাইছেন সস্তা পণ্যের বৃত্ত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে। তৈরি করতে চাইছেন ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে রুচিশীল ও আধুনিক ফ্যাশনের পোশাক বাজার, যা দিয়ে এই শিল্পকে বিশ্ববাজারের অতি উচ্চ স্থানে পৌঁছানো যাবে। তিনি জানান, নির্বাচনে বিজয়ী হলে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবন তহবিল স্থাপন করবেন। শিল্পের সব সংকটে পাশে থেকে একটি কার্যকর, স্বচ্ছ ও গতিশীল বিজিএমইএ গড়তে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।। এনটিভি অনলাইনের পক্ষে তার এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান। এখানে সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো—
এনটিভি অনলাইন : চাকুরির পেছনে না ছুটে গার্মেন্টস ব্যবসায় আত্মনিয়োগের কারণ কী?
মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান : আমার পরিবারের সবাই চাকুরিজীবি। প্রায় সবাই সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করেছেন ও করছেন। কিন্তু আমি ব্যতিক্রম। ছোটবেলা থেকেই ঝোঁক ছিল এমন কিছু করার, যাতে আমারসহ অনেকের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারি। এছাড়া দেশের টেকসই অর্থনীতিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে পারি। সেই থেকেই গার্মেন্টস শিল্পের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল আমার। তাই এমবিএ সম্পন্ন করে সরাসরি ব্যবসায় নামি। গত ১৭ বছর ধরে গার্মেন্টস ব্যবসায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছি। দীর্ঘ সময়ে আমার বিশেষ মনোযোগ ছিল উদ্ভাবন, গুণগত মান ও টেকসই উৎপাদন ব্যবস্থার ওপর। আমার নেতৃত্বে পুলম্যান নিটওয়্যার আন্তর্জাতিক মানের নিটওয়্যার পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে।
এনটিভি অনলাইন : আপনার বড় শক্তিগুলো কি কি?
মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান : আমার অন্যতম বড় শক্তি হলো কৌশলগত নেতৃত্ব। আমার কাছে একটি স্পষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা থাকে। সেই লক্ষ্যে আমার টিমকে একত্রিত করে কাজ করতে পারি, যা আমাকে বৈশ্বিক পোশাক শিল্পে ক্রমাগত পরিবর্তনের মধ্যে সফলভাবে পথ চলতে সাহায্য করে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হলো- গুণমান ও কমপ্লায়েন্সের প্রতি আমার অঙ্গীকার। আমি বিশ্বাস করি, দীর্ঘমেয়াদে সফলতা আসে উচ্চমান বজায় রাখাসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আস্থা অর্জনের মাধ্যমে। আমি মানুষকে মূল্য দিই- আমি শক্তিশালী টিম গঠনে বিনিয়োগ করি। ইতিবাচক ও নৈতিক কর্মসংস্কৃতি বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকি আমি।
এনটিভি অনলাইন : নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপনি কোন দিকে ফোকাস বেশি দেবেন?
মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান : আমার ফোকাস বেশি থাকবে বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে, যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার মতো সম্ভাবনাময় অঞ্চলে রপ্তানি আরও বাড়ানো যায়। আমরা সস্তা পোশাকপণ্য থেকে বেড়িয়ে আসবো। মানসম্মত ও ক্রেতার চাহিদায় বিভিন্ন ডিজাইনের পণ্যের দিকে ঝুঁকবো। পণ্যে বিভিন্ন কারুকাজ করে কিভাবে বেশি রেট পাওয়া যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করবো। পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবন তহবিল স্থাপন করবো, যাতে কারখানা ও ডিজাইন টিমগুলো গার্মেন্টসের মতো টেকনিক্যাল ফেব্রিকস, পারফরম্যান্স ওয়্যার এবং ম্যান মেড ফাইবার ভিত্তিক নতুন ক্যাটাগরি তৈরি করতে পারে। একইসঙ্গে বাংলাদেশকে মূল্য সংযোজনের উচ্চতর স্তরে উন্নীত করতে পারে। বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে আমাদের পদক্ষেগুলো মধ্যে রয়েছে- বিজিএমইএর মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্য সংস্থা ও চেম্বারগুলোর সঙ্গে কৌশলগত বাণিজ্য কূটনীতি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর; নতুন অঞ্চলে লক্ষ্যভিত্তিক বি২বি মিশন, এক্সপো এবং সোর্সিং ফেয়ারে অংশগ্রহণ; বিজিএমইএতে একটি বাজার এক্সপ্যানশন ডেস্ক প্রতিষ্ঠা করা, যা সদস্যদের বাজার তথ্য, ক্রেতা ডাটাবেস সরবরাহ করবে; ইপিবি, বিদেশি মিশন ও প্রবাসী নেটওয়ার্কের সঙ্গে যৌথভাবে উদীয়মান অর্থনীতির ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা; সিন্থেটিকস, ব্লেন্ডস, আউটারওয়্যার ইত্যাদির মতো রপ্তানি উৎসাহিত করে এমন কাঁচামালের ওপর নির্ভরতা কমানো।
এনটিভি অনলাইন : তৈরি পোশাক খাতের চ্যালেঞ্জ ও সমস্যাগুলো কী? মোকাবিলা কীভাবে করবেন?
মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান : বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের (আরএমডি) বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যা খাতটির দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতার জন্য হুমকি স্বরূপ। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্নতা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের উপর অতিনির্ভরতা, অদক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণের ঘাটতি, স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস হারানো, ম্যান মেড ফাইবার পণ্যে দুর্বল ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ, এসএমই প্রস্তুতকারকদের জন্য নীতিগত অসুবিধা, উচ্চ সুদের হার ও ব্যবসায়িক ব্যয়, রপ্তানিতে শুল্ক ক্লিয়ারেন্স বিলম্ব, একাধিক কমপ্লায়েন্স মান ও খরচ ও ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডিংয়ে দুর্বল বৈশ্বিক অবস্থান। দেশের আরএমজিতে সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্যের কম মূল্য, পেমেন্ট দেরিতে পাওয়া, কয়েকটি নির্দিষ্ট বাজারের ওপর উচ্চমাত্রার নির্ভরতা, উদ্ভাবনের অভাব, কমপ্লায়েন্স ও শ্রম সংক্রান্ত সমস্যা। এগুলো কাটিয়ে উঠতে ভ্যালু অ্যাডেড পণ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এছাড়া রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্যকরণ, শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন, ন্যায্য মূল্য আদায়ে জোর দেওয়াসহ টেকসই উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগ করতে হবে।
এনটিভি অনলাইন : বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে বলুন?
মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান : বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে আমাদের উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। সংকটের কারণে সময়মতো উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। ক্ষমতা থাকতেও এই সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। বিজয়ী হলে সংকট কমাতে সরকার ও বিদ্যুৎ-গ্যাস সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে জোরালো আলোচনা চালিয়ে যাব আমরা। যাতে উৎপাদন মৌসুমে চূড়ান্ত সময়গুলোতে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর জন্য গ্যাস ও বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। একইসঙ্গে সরকার যখন গ্যাস ও বিদ্যুৎতের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে পারবে না, তখন আমরা এমন একটি বিকল্প প্রণোদনা ও সুবিধা প্যাকেজের পক্ষে জোরালোভাবে কাজ করব, যা গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর জন্য সহায়ক হবে।
এনটিভি অনলাইন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাড়তে থাকা বাণিজ্যযুদ্ধ দেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে কীভাবে প্রভাবিত করছে?
মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ, বিশেষ করে চীনা পোশাকে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একদিকে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে। যেমন চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ চীনা পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন ক্রেতারা বিকল্প খুঁজছেন। বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক মূল্য ও গুণমানের কারণে এই বাজার থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানি ৩৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ইতিবাচক প্রবণতা নির্দেশ করে। এই বাণিজ্যযুদ্ধ পরিস্থিতি সামনে আরও বাড়তে পারে। সুযোগ যেমন রয়েছে তেমনি বেশকিছু চ্যালেঞ্জ বয়ে রয়েছে। যেমন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পোশাকের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা প্রতিযোগিতা কমিয়ে দিতে পারে। ভারতের ক্ষেত্রে এই হার ২৬ শতাংশ যা তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের জন্য একটি প্রতিবন্ধকতা। বেশকিছু বাংলাদেশি কারখানা ইতোমধ্যে জানিয়েছে, নতুন শুল্কের কারণে মার্কিন ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
এনটিভি অনলাইন : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ রাশেদুর রহমান : ধন্যবাদ এনটিভি অনলাইনকে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ১২ দফা নির্বাচনি ইশতেহার তুলে ধরেছে সম্মিলিত পরিষদ। ১২ দফা এই ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে- এসএমই সাপোর্ট সেল ও নীতি সহায়তা; বিদ্যুৎ-জ্বালানি নিরাপত্তা ও বিকল্প প্রণোদনা প্যাকেজ; ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ এর তৈরি পোশাক খাতের কর্মীবাহিনী: মধ্য-পর্যায়ের ব্যবস্থাপকদের দক্ষতা উন্নয়ন; অর্থায়ন সহজীকরন: গ্রীন ফান্ডিং ডেস্ক ও ব্যাংকিং সহায়তা ডেস্ক; বাজার ও পণ্যের বৈচিত্রকরণ: প্রচলিত দেশের বাইরেও বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানো; এলডিসি পরবর্তী প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শক্তিশালীকরণের জন্য বিকল্প প্রনোদনা নীতি; বাণিজ্য সহায়তা ও এনবিআর সংস্কার: বন্ড সুবিধা, ভ্যাট সরলীকরণ ও নিয়ন্ত্রক সহজীকরণ; রপ্তানি সহায়তা ওয়ান-স্টপ সাপোর্ট সেল, নীতিনির্ধারণ বুদ্ধিমত্তা সেল ও ডিজিটাল রূপান্তর সেন্টার; সামাজিক নীতিপালন উন্নয়ন কর্মসূচি- ইউনিফাইড কোডি অব কনডাক্ট বাস্তবায়ন; ব্যবসায়িক সম্ভাবনার সাথে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের সবুজ রুপান্তর: সার্কুলারিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডিকার্বোনাইজেশন ও প্রতিযোগিতামূলক শ্রেষ্ঠত্ব; ‘মেইড ইন বাংলাদেশ- প্রিমিয়ার এডিশন’: বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের নতুন অবস্থান ও পরিচিতি; অ্যাপারেল ডিপ্লোম্যাসি ও দ্বায়িত্বশীল এক্সিট পলিসি।