বিশেষজ্ঞের কাজ পলিসি প্ল্যানারদের কাছে সমাধান তুলে ধরা : ড. মঈন খান
বিশেষজ্ঞের কাজ পলিসি প্ল্যানারদের কাছে সমাধান তুলে ধরা। পলিসি প্ল্যানার কিন্তু জনগণের প্রতিনিধি এটা মানতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এনটিভি ও এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘কেমন বাজেট চাই’-শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান এ কথা বলেছেন।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘মানুষের ধারণা, বর্তমান সরকার এক্সপার্ট সরকার, বিশেষজ্ঞ সরকার, ইনটেরিম সরকার বলি আমরা। তারা বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। সম্ভবত বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বিশেষজ্ঞ। বাংলাদেশের বাইরে থেকেও ডজনকে ডজন বিশেষজ্ঞ এনে আমাদের শেখানো-পড়ানো হচ্ছে। সবাই মেনে নিচ্ছি। ভুলটা কোথায় হচ্ছে জানেন, বিশেষজ্ঞ হয়ে তারা সবকিছুর সমাধান করে দেবেন! কিন্তু তারা পারবেন না। কারণ বিশেষজ্ঞের কাজ সমাধান তুলে ধরা পলিসি প্ল্যানারদের কাছে। পলিসি প্ল্যানার কিন্তু জনগণের প্রতিনিধি এটা মানতে হবে।’
পলিসি প্ল্যানাররা হয়ত বিশেষজ্ঞ না, পিএইচডি ডিগ্রিধারী না, পলিটিক্যাল সায়েন্সের মাস্টার্স ডিগ্রিধারী নাও হতে পারেন। তবে তারা কিন্তু জনগণের ভোটে এসেছেন উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘একটু আগে যে কথাটি বলছিলাম, আমি অ্যাডাম স্মিথের মত কিংবা শ্যামল সেনের বই থেকে অর্থনীতি শিখি নাই। বিভিন্ন কমপ্লেক্স অর্থনীতি নিয়ে যখন তৃণমূলের মানুষ আমাদের কাছে আসে, আমাদের কিন্তু সমাধান বের করে দিতে হয়। আজকে আপনি যে চ্যালেঞ্জের কথা বলছেন, রাজনীতিকদের জন্য এটা কোনো চ্যালেঞ্জ বলে আমি মনে করি না। অতীতে আমরা এমন বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। ভবিষ্যতেও করব। কিন্তু এই কাজটি যে রাজনীতিকদের এটা আজকের সরকারকে বুঝতে হবে এবং তাদের হাতেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাজেট নিয়মিত কাজ। এক্সপার্টরা যোগ-বিয়োগ করে জনগণের সামনে তুলে দেন। এবারের বাজেট বিগত বছরের তুলনায় কামানো হয়েছে। বাজেট যতটুকুই কমানো হয়েছে, এটা কিন্তু সাহসী সিদ্ধান্ত। এই বাজেটটা উর্ধ্বমুখী না গিয়ে নিম্নমুখী গেল এটা কিন্তু এক্সট্রাঅর্ডিনারি থিংক। অতীতে সরকার প্রসারিত করে দেখাতো। দুইগুন-তিনগুন করে দেখাতো। এই প্রথম সরকার এমন সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে, আমি তাদের প্রশংসা করি।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমি বলব, কোয়ানটেটিভ কোয়ালিটেটিভ সাইটটা দেখা উচিত ছিল। মোট বাজেট কমেছে। উন্নয়ন বাজেট কমেছে। কিন্তু রেভিনিও বাজেট বেড়েছে, দিজ ইজ এ বেড সাইন। রেভিনিও বাজেট আন প্রোডাক্টিভ এক্সপেন্ডেচার। সেখানে কিন্তু নিয়ে হয় নানান রকমের সুযোগ-সুবিধা। এখানে কোয়ানটেটিভলি যদি আমরা দেখতে চাই, কোয়ানটেটিভলি আমি অ্যাগ্রি করি, তার ভালো কাজ করেছে। কিন্তু ভেতরে দিয়ে কোয়ালেটেটিভলি দেখি, আমি যদি একটু ভেতরে রহস্য দেখি, তাহলে কিন্তু এই বাজেট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন হবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘বাস্তবতা সব সময় কঠিন হয়। রাজনৈতিক দলের জন্য খুব কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে বলে আমি মনে করি না। কারণ রাজনৈতিকরা সময় সয় কঠিন চ্যালেঞ্জ ফেইস করতে প্রস্তুত থাকে। তাদের প্রধান কাজই হচ্ছে সেটা। আমাদের দেশে বিভিন্ন রকমরে পরিস্থিতি হয় রাজনৈতিকরা সেটা মোকাবিলা করেন।’