কর্মস্থলে যোগদানের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রশাসন ভবনে ফের তালা লাগিয়েছেন অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তরা। কর্মস্থলে পদায়ন না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম চলতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন তারা। আজ রোববার দুপুরে তারা প্রশাসন ভবনে তালা দেয়।

এর আগে গতকাল শনিবার সকালে প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে আজ সকালে তালা খুলে দেন। কিন্তু উপাচার্য তাদের কথা রাখেননি বলে ফের তালা লাগান তারা৷ 

নিয়োগপ্রাপ্তরা বলছেন, রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা তাদের বলেছিলেন প্রশাসন ভবনে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। তাই তারা প্রশাসন ভবনের তালা খুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু উপাচার্য পরবর্তীতে ভিন্ন কথা বলছেন। তিনি আজ প্রশাসনিক ভবনে আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। তাই তারা ফের তালা ঝুলিয়েছেন।

নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্যতম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আতিকুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্যের কথায় আমরা বিশ্বাস করে তালা খুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি পরবর্তীতে কথা রাখেননি। তিনি বাসায় থেকে অফিস করছেন। তাই আমরা তালা দিয়েছি। আমাদের কর্মস্থলে পদায়ন না করা হলে কোনো প্রশাসনিক কার্যক্রম চলবে না।’

জানতে চাইলে রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘আমি তাদের বলেছিলাম দেখা করব। কিন্তু আমি মানসিকভাবে কিছুটা আপসেট। তাই প্রশাসনিক ভবনে যাওয়া হয়নি। তবে তাদের দুই-একজনকে দেখা করতে বাসবভনে আসতে বলেছিলাম।’

আনন্দ কুমার সাহা আরও বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দাবি আমার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তাদের বিষয়টি সমাধানের জন্য জানিয়েছি। মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ না নিলে কিছু করার নেই।’

গত ৬ মে উপাচার্য হিসেবে শেষ কার্যদিবস পালন করেন অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। মেয়াদের শেষ দিনেই অ্যাডহকে নিয়োগ দেন ১৩৮ জনকে। বিতর্কিত এই নিয়োগকে ‘অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত’ উল্লেখ করে এদিন সন্ধ্যায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত করে গত ২৩ মে তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। এতে এ নিয়োগকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করা হয়।

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাদের কর্মস্থলে যোগদান স্থগিত রেখেছেন বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।