চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ৩০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন বর্ষের ৩০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চমেক মিলনায়তনে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে সভা শুরু হয়ে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা পর নানা সিদ্ধান্তে কথা জানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহানা আক্তার। এ সময় কলেজের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানসহ একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় চমেক কলেজ ও ছাত্রাবাস। এ ঘটনার গতকাল রোববার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পর একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ২৭ নভেম্বর কলেজ খুলে দেওয়া ও ছাত্রদের দুটি ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা ও নতুন করে ছাত্রাবাসের সিট বণ্টনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ। এ ছাড়া আটজনকে দুই বছরের জন্য, দুজনকে দেড় বছর ও ২০ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসকও রয়েছেন।
গত ২৯ অক্টোবর ও পরের দিন কলেজ ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় ছাত্র গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় পরস্পরকে দায়ী করে একাধিক মামলা হয়। ঘটনার জন্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সমর্থিত কর্মীরা পরস্পরকে দায়ী করে আসছে।