সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। আজ বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অনুষদ প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে মিছিলটি সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘জিয়ার সৈনিক, এক হও লড়াই করো’, ‘অ্যাকশান অ্যাকশান, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ছাত্রদলের অ্যাকশান ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব, রোকন উদ্দিন, আবু দাউদ, আনারুল ইসলাম, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, স্বাক্ষর, উল্লাস, রোকনুজ্জামান, তৌহিদুল, উৎস, মোহাম্মাদ আলী, রিয়াজ, মামুন, রায়হান, লিখন, সাদিক, তাপসসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, গতকাল শুধু সাম্যকে হত্যা করা হয়নি, গতকাল ৫ই আগস্ট পরবর্তী স্বাধীনতাকে হত্যা করা হয়েছে। সারা দেশের সকল শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমান সরকার যেভাবে হাসিনার মতো চেপে বসতে শুরু করেছে, এই সরকার যদি সাম্যর হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় না আনে তাহলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ জাতীয়তাবাদী আদর্শের সব সংগঠন তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবারও রাজপথে নামবো।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঘাটতি হয়েছে, অথচ ডক্টর ইউনূস যমুনায় আরামে বসে আছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওদিকে ফ্যাসিস্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে দেশ থেকে বেরিয়ে যেতে দিয়ে পরেরদিন যমুনা ঘেরাও, শাহবাগ ঘেরাওয়ের নাটক করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে হাসিনাকে বিদায় করেছি অথচ কয়েকদিন আগে এই প্ল্যাটফর্ম থেকে আমাদের আরেক ভাইকে হত্যা করেছে, এগুলোর কোনো বিচার হচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন।’