চবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতল প্রাঙ্গণে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহিরাগত থেকে নিরাপদ রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘চবিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’— ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, সাবেক সহ সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী, ইয়াশিরুল কবির সৌরভ, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ, জুলাই যোদ্ধা আমিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা জানান, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যেভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের শনাক্ত করে দোষীদের সর্বোচ্চ বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলাকারীদের নাম দিয়েছে এলাকাবাসী, কিন্তু হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এর আগে ঢাবি, জবি, রাবিতে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ’২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে কীভাবে আহত করা হবে, মারা হবে— এটা একটি ট্রেন্ড চলে আসছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আমার ভাই-বোন ও শিক্ষকদের আহত করেছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী কথা ছিল প্রতিটি জায়গায় রিফর্মেশন হবে, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ প্রতিটি প্রশাসনে রিফর্ম হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এক বছর পর আমরা দেখতে পারছি— এখন চট্টগ্রামে যেটি হচ্ছে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ হচ্ছে। আওয়ামী পুনর্বাসনের জন্য চট্টগ্রামের প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। যদি চট্টগ্রামের প্রশাসন লীগকে পুনর্বাসন না করতো, তাহলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদের দেখতে হতো না।’
সুইট আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম প্রশাসন যে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের প্রজেক্ট নিয়েছে, এই প্রজেক্টের বর্তমান সরকারের ক্ষুদ্রতম একটি অংশ হচ্ছে চট্টগ্রাম প্রশাসন। ইন্টারিম সরকারে সব জায়গায় সংস্কারের কথা ছিল, কিন্তু ’২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যাকারী ও গণহত্যার সহযোগী তাদের রিফাইন্ড করে চলেছে। অনতিবিলম্বে এই রিফাইন্ড করা বন্ধ না করলে আজ চট্টগ্রামে হামলা হয়েছে, কাল যশোর হবে, পরদিন আমাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা হবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে, কিন্তু তার সহচর, সহযোগীদের এই বাংলাদেশে রেখে গেছে— তাদের প্রতিহত না করলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও এই ঘটনা ঘটবে। তাই ইবি প্রশাসনকে অনুরোধ করবো বিশ্ববিদ্যালয়কে নিরাপদ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’