চবি সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি, যৌথবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সংঘর্ষের ঘটনায় ২১ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চবি কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে স্থিতিশীল পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যৌথবাহিনী ক্যাম্পাসে মোতায়েন থাকবে। এ ঘটনায় আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে বৈঠকে এ সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার জানান, ‘আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা এখন জরুরি এবং তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের জন্য ক্যাম্পাসে যৌথবাহিনী মোতায়েন রাখা হবে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরে বৈঠকে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ছাড়াও জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর সংঘটিত হামলার বর্ণনা দিয়ে দ্রুত বিচার এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। যথাসময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘শনিবার ও রোববার মিলিয়ে আমাদের ২৫০-এর অধিক শিক্ষার্থী ভাইয়েরা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান।
প্রসঙ্গত, ভাড়া বাসার দারোয়ান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত সোয়া ১২টা থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় স্থানীয়দের হামলায় সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, সাংবাদিকসহ অন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাদের পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মুমিন ১৪৪ ধারা জারি করেন। এটি আজ সোমবার দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। রোববার বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্পাসে যৌথবাহিনী মোতায়েন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।