শেভ করার সময় ভুল করছেন না তো?

শেভ করার পর ত্বক রুক্ষ্ম এবং খসখসে হয়ে যায়। এমন সমস্যা প্রায় সব পুরুষেরই হয়। আর হবেই বা না কেন? শেভ করার সময় নিজের অজান্তেই টুকিটাকি ভুল সবাই করে থাকে। যার ফলে ত্বকের নমনীয় ভাব থাকে না। হাফিংটন পোস্টে শেভ করার সময় কী করবেন আর কী করবেন না, সে সম্বন্ধে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চলুন, এক নজরে দেখে নিন শেভ করার সময় কোন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন-
১. অনেক সময় দাড়ি বেশি বড় হয়ে যায়। তখন সাধারণ রেজার দিয়ে এক টানে শেভ করা সম্ভব হয় না। বারবার একই জায়গায় রেজার দিয়ে শেভ করার চেষ্টা করলে ত্বক কুচকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক রেজার দিয়ে আগে দাড়ি ছোট করে নিতে পারেন। পরে মুখে শেভিং ফোম লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর রেজার দিয়ে শেভ করে ফেলুন। দেখবেন, এভাবে শেভ করার পর আপনার ত্বক মসৃণ হবে।
২. অনেকেই শেভ করার আগে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করেন না। সবচেয়ে ভালো উপায় হলো গোসল করার পর শেভ করা। গোসল করার সময় দুই মিনিট শাওয়ারের নিচে মুখ ভেজানোর জন্য দাঁড়িয়ে থাকুন। এতে দাড়ি অনেক নরম হয়ে যাবে এবং মসৃণভাবে শেভ করতে পারবেন। না হলে শেভ করার পর ত্বক রুক্ষ্ম হয়ে যেতে পারে।
৩. একটি পরিষ্কার তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে মুখের ওপর যতক্ষণ না তোয়ালে ঠাণ্ডা হয় ততক্ষণ রেখে দিন। এতে আপনার ত্বকের লোমকূপের মুখ খুলে যাবে এবং দাড়ি নরম হয়ে যাবে। এরপর শেভ করুন। এর ফলে শেভ করার সাথে আপনার মুখের ময়লাও দূর হবে এবং আপনি পরিষ্কার ত্বক পাবেন।
৪. অনেকেই মুখে কম শেভিং ক্রিম বা ফোম ব্যবহার করেন। এতে শেভ করার পর মুখের ত্বকে জ্বালাপোড়া হয় এবং চুলকানি হয়। কম শেভিং ফোম ব্যবহারের কারণে দাড়ি নরম হয় না। মনে রাখবেন, রেজারের ব্লেড ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই কম শেভিং ফোম দিয়ে শেভ করলে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। আর ভালো মানের শেভিং ফোম ত্বকের ক্ষতি হতে দেয় না। বরং ত্বককে আরও নরম ও উজ্জ্বল করে।
৫. শেভ করার জন্য অবশ্যই ভালো মানের রেজার ব্যবহার করতে হবে। পুরনো রেজার বেশি দিন ব্যবহার করা ঠিক না। তবে দামি রেজার ব্যবহার করতে হবে এমন কোনো নিয়মও নেই। ভারি রেজারের থেকে হালকা রেজার ত্বকের জন্য ভালো। তাই শেভের ক্ষেত্রে ভালো রেজার বাছাই করুন।