গৃহিণীদের চাহিদা শতরঞ্জি

বাণিজ্যমেলায় সবচেয়ে বেশি সমাগম ঘটছে গৃহিণীদের। তাদের চাহিদা পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগই ঘরের টুকিটাকি পণ্যসামগ্রী। অন্যজাগয়া থেকে এই মেলায় সব পণ্য কমদামে থাকায় অনেকেই অপেক্ষা করেন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার জন্য। ঘর সাজানোর টুকিটাকি পণ্যের পাশাপাশি গৃহিণীদের চাহিদা শতরঞ্জিও। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তারাও দিচ্ছে নানা রকম ছাড়।
মিরপুর ১ থেকে আসা মিথিলার সাথে এসেছে তাঁর মা। মিথিলা বললেন, ‘আজ সারাদিন মাকে নিয়ে ঘুরেছি। এরইমধ্যে ঘর সাজানো নানা পণ্য কিনেছেন মা। এখন শতরঞ্জি কিনতে এসেছি।’
ঘরের বেশিরভাগ পণ্য কেনা হয় বাণিজ্য মেলা থেকেই। কারণ একই দামে অন্য সময় থেকে বেশি পণ্য কেনা যায়। শতরঞ্জির প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, নানা রং আর ঢঙের ঘর সাজানো পণ্যের পসরা নিয়ে হাজির হয়েছে এই প্যাভিলিয়ন। নানা অফারের মধ্যে কিছু বিশেষ ছাড় বা উপহার সবার নজড় কাড়ছে। এর মধ্যে অন্যতম ৬০০ টাকায় বাথম্যাট কিনলে সঙ্গে আরো তিনটি ফ্রি, একটি ডোরম্যাট কিনলে একটি বা একটি বেণীম্যাট কিনলে একটি ফ্রি। এ ছাড়া প্লেসম্যাটে পাওয়া যাচ্ছে ৩০ শতাংশ ছাড়। শতরঞ্জির অন্যান্য পণ্যে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় তো রয়েছেই।
অন্যদিকে দেখা গেল ১০০, ১৫০, ২০০ ও ৩০০ টাকা মূল্যের একটি পাটের ডোরম্যাট কিনলে আরো একটি ফ্রি পাওয়া যাচ্ছে। কারুপণ্য রংপুর লিমিটেড কাঁচা পাট, ঝুঁট, পাটের সুতালি, রিসাইকেল সুতাসহ দেশি কাঁচামালে তৈরি শতরঞ্জি আন্তর্জাতিক বাজারেও সুনাম কুঁড়িয়েছে। ২০ থেকে ২৫ ধরনের পণ্য মিলছে শতরঞ্জিতে। এর মধ্যে অন্যতম ডোরম্যাট, ফ্লোরম্যাট, বাথম্যাট, বেডসাইড ম্যাট, প্লেসম্যাট ও পর্দাসহ নানা পণ্য।
বিভিন্ন ধরনের নকশা ও আকারের শতরঞ্জি হস্তচালিত তাঁতে তৈরি করা হয়েছে। হাতে নানা ধরনের কারুকার্য করা দরজা ও জানালার ডিভাইডার পর্দায়ও মিলছে ১০ শতাংশ মূল্যছাড়। মানভেদে এসব দরজার ডিভাইডার পর্দা ৮৮০, ৯০০ ও ১১২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মনের মতো ঘর সাজাতে শতরঞ্জি প্যাভিলয়নে গৃহিণীদের দেখাই বেশি মিলছে।
শতরঞ্জির প্যাভিলিয়ন ইনচার্জ আশিকুর রহমান পাভেল বলেন, ‘ঘর সাজাতে ক্রেতারা এখানে প্রতিনিয়তই ছুটে আসছেন। দেশীয় শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে ১২ ডলার মূল্যের শতরঞ্জি ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, এশিয়াসহ বিশ্বের ৩৮টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। যা মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ৮২ কোটি টাকা। আশা করছি, সামনে এই হার শত কোটি টাকা ছাড়াবে।’