ফোম শেভিং না ইলেকট্রিক শেভিং, কোনটা ভালো?
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/02/16/photo-1455620190.jpg)
শেভ করা পুরুষদের নিত্যদিনের কাজ। সেটা ফোম অথবা জেল দিয়ে হোক কিংবা ইলেকট্রিক শেভার দিয়েই হোক। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ইলেকট্রিক শেভারের থেকে ফোম অথবা জেল দিয়ে শেভ করা ভালো। তবে উল্টো মতও কিন্তু আছে। ফোম শেভিং না ইলেকট্রিক শেভিং-কোনটা ভালো, এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের লাইফস্টাইল বিভাগে।
ভেজা শেভিং কী?
যে শেভ করতে ফোম অথবা জেল লাগে, রেজার লাগে- তাকেই ভেজা শেভিং বলে। আদিযুগ থেকে এই উপায়েই শেভ করা হতো। এখন আধুনিক অনেক যন্ত্র থাকলেও অনেকেই এই উপায়েই শেভ করে।
ভেজা শেভিং করলে কী হয়?
পানি দিয়ে মুখ ভেজানোর পর ফোম অথবা জেল লাগানো হয়। এতে মুখের চামড়া নরম হয় এবং রেজার দিয়ে টান দিলেই শেভ হয়ে যায়। কেটে যাওয়ার ভয় থাকলেও একটু সময় নিয়ে করলে খুব একটা সমস্যা হয় না। আর ফোম ও জেলের কারণে ত্বকের কালচে ভাব দূর হয় এবং শেভ করার পর ত্বক মসৃণ মনে হয়।
ভেজা শেভিং কেন ভালো?
শেভ করা মানে শুধু দাড়ি কেটে ফেলা নয়। এর সঙ্গে মরা কোষও দূর হয়। আর ফোম ব্যবহারের কারণে ত্বক নরম হয় এবং ব্রাশ দিয়ে ম্যাসাজ করলে ত্বকের লোমকূপের মুখ খুলে যায়। এর ফলে সহজেই ত্বকের মরা কোষ দূর হয়। এ কারণেই ভেজা শেভিং করলে ত্বক নরম ও মসৃণ হয়।
ভেজা শেভিংয়ের খারাপ দিক কী?
রেজার দিয়ে শেভ করার তিনটি খারাপ দিক রয়েছে। এক, এই উপায়ে শেভ করলে মুখ কেটে যাওয়ার ভয় থাকে। দুই, ফোম ব্যবহারের কারণে মুখে চুলকানি হতে পারে এবং তিন, অনেকটা সময় নষ্ট হয়।
শুকনো শেভিং কী?
ইলেকট্রিক শেভার বা ট্রিমার দিয়ে শেভ করাকে শুকনো শেভিং বলে। এভাবে শেভ করতে ফোম বা জেল ও ব্রাশ লাগে না।
শুকনো শেভিংয়ের ভালো দিক কী?
ইলেকট্রিক শেভার দিয়ে শেভ করলে কেটে যাওয়ার ভয় থাকে না। এতে চুলকানির সমস্যা হয় না। এটি ঝামেলাবিহীন এবং খুব কম সময়ে শেভ করা যায়।
শুকনো শেভিংয়ের খারাপ দিক কী?
ইলেকট্রিক শেভার দিয়ে শেভ করলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। আর এটি মুখের মরা কোষও দূর করে না। এর ফলে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং ত্বক খসখসে হয়ে যায়। এ ছাড়া এই যন্ত্র ব্যয়বহুলও বটে।