চুলের ধরন অনুযায়ী বেছে নিন সঠিক তেল, রইল টিপস

চুল আমাদের সৌন্দর্যের অনেক বড় একটা অংশ। আর সেই চুলই যদি ক্রমাগত ঝরে গিয়ে মাথায় টাক পড়ে তাহলে আর দুঃখের কোনো সীমা থাকে না। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য কোন তেল মাখবেন?
তেলে, পানিতে চুল ভালো হয়। তবে সব তেল সকলের জন্য নয়। তেল মাখার পর যদি বেশি চুল উঠতে শুরু করে, তাহলে সব দোষ তেলের উপর চাপিয়ে দিয়ে লাভ নেই। মাথার ত্বকের ধরন বা সমস্যা বুঝে সঠিক তেল নির্বাচন করতে না পারলে চুল উঠবেই।
কোন ধরনের তেল বাছবেন?
নারকেল তেল
চুলের যত্নে নারকেল তেলের জুড়ি নেই। নারকেল তেলে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এতে রয়েছে লরিক অ্যাসিড, যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। মাথার ত্বকের ছোটখাটো সংক্রমণ প্রতিহত করতে তা কার্যকর। এ ছাড়াও তেলটিকে চুল সহজে শোষণ করে নিতে পারে। শুষ্ক চুল হলে এই তেলই ভালো।
মেথির তেল
মাথার ত্বকে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ বা খুশকি হলে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মেথির তেল ব্যবহার করেন অনেকে। এই টোটকা কিন্তু বেশ কাজের। মাথার ত্বকের শুষ্কভাব দূর করতে এই তেল মাখা যেতে পারে।
অলিভ অয়েল
ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য সেরা প্রাকৃতিক তেল হিসেবে অলিভ ওয়েলের বেশ খ্যাতি রয়েছে। নারকেল তেলের মতো রান্নাতেও অলিভ অয়েল ব্যবহৃত হয়। ত্বক থেকে চুলের যত্নে অলিভ অয়েল বিশেষ কার্যকর। ২০১৫ সালে ‘পাবলিক লাইব্রেরি অফ সায়েন্স’ (পিএলওএস) নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত গবেষণা বলছে, চুলের বৃদ্ধিতে অলিভ অয়েলের ভূমিকা রয়েছে। যদিও এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য মেলেনি বা একাধিক গবেষণা হয়নি। তবু বহুদিন ধরে তেলটির ব্যবহার হয়ে আসছে। চুল পড়ার সমস্যা বাড়ছে, যাদের খুশকির সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই তেল ভালো।
টি ট্রি অয়েল
মাথার ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে। তা সত্ত্বেও খুশকি হয়। তবে এই খুশকি কিন্তু মাথা থেকে ঝরে পড়ে না। মাথা চুলকালে অনেক সময়ে নখের কোণে উঠে আসে। এই সমস্যায় কিন্তু মেথির তেল কাজ করবে না। বরং টি ট্রি অয়েল মাখলে মাথার ত্বকের সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।