ঈদ উপলক্ষে ফ্রিজ কেনাবেচায় ধুম

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে ফ্রিজ কেনাবেচা। রাজধানীর বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোতে ফ্রিজ বিক্রির ধুম পড়েছে। আর কোরবানির মাংস সংরক্ষণের জন্য ডিপ ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তাই ঈদকে কেন্দ্র করে এই প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্রিজের জন্য বিভিন্ন অফারও দিয়েছে। তেমনি কিছু ইলেকট্রনিক কোম্পানির মূল্যছাড় নিয়ে এই বিশেষ আয়োজন।
ওয়ার্লপুল
ঈদ উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও নতুন মডেলের ফ্রিজ বাজারে এনেছে ওয়ার্লপুল। ৩৯ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে ৫৪ হাজার ৫০০ টাকায় এই ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনতে পারবেন। এর মধ্যে সর্বনিম্ন ২৪২ লিটারের ফ্রিজগুলো মিলছে ৫১ হাজার ২৫০ টাকায়, ২৪৫ লিটারের দাম ৫৪ হাজার ৯০০ টাকা, ২৯২ লিটারের দাম ৫৯ হাজার ৭৫০ টাকা ও ৩৯০ লিটার ফ্রিজের দাম ৭৪ হাজার টাকা।
সিঙ্গার
এবারের ঈদে ৪০টিরও বেশি নতুন মডেল নিয়ে বাজারে এসেছে সিঙ্গার ফ্রিজ। দেওয়া হচ্ছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। সবচেয়ে ছোট ১৩৮ লিটারের ফ্রিজের দাম ১৯ হাজার ৯৯০ টাকা। আর সবচেয়ে বড় ফ্রিজ ২৮০ লিটারের, দাম ৫০ হাজার টাকা।
স্যামসাং
কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে স্যামসাং ফ্রিজের বিক্রির হিড়িক শুরু হয়েছে। ৪৫ হাজার ৯০০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার ফ্রিজ পাবেন স্যামসাংয়ে। এ ছাড়া ডিপ ফ্রিজের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৯৮ লিটারের দাম ২৪ হাজার ৫০০ টাকা ও ২০৫ লিটার ৪৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি ফিজে ক্রেতা পাচ্ছেন ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকার মূল্যছাড়।
এলজি বাটারফাই
এলজির ছোট ফ্রিজ ২৫০ লিটারের দাম ৩৫ হাজার ৯৫০ টাকা। আর ৫২৮ লিটারের বড় ফ্রিজের দাম এক লক্ষ ৪০ হাজার ৩১০ টাকা। ডিপ ফ্রিজ পাবেন ২৬ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। এ ছাড়া ১০ বছরের ওয়ারেন্টি তো থাকছেই। ঈদে তাদের নিজস্ব শোরুম কিংবা অনুমোদিত আউটলেটগুলো থেকে ফ্রিজ কিনলেই পাচ্ছেন ৮ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়।
ওয়ালটন
দেশীয় পণ্য হিসেবে এবারের ঈদে ওয়ালটন ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ করা গেছে। ঈদকে সামনে রেখে এরই মধ্যে ফ্রিজের বিক্রিবাট্টা বেড়েছে। ঈদে ওয়ালটনের ফ্রিজে থাকছে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ মূল্যছাড়। ১৭ হাজার থেকে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যেই ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনতে পারবেন। এ ছাড়া আকার অনুযায়ী প্রতিটি ফ্রিজে ৮-১০ বছরের কম্প্রেসার গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন।
তোশিবা
ঈদ নিয়ে বরাবরের মতো এবারও আয়োজনের কমতি রাখেনি তোশিবা। দামের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, ন্যূনতম ৩৪ হাজার ৪০০ টাকা থেকে এক লাখ ৪৬ হাজার টাকার মধ্যে সব ধরনের ফ্রিজ পাওয়া যাবে। প্রতিটি ফিজের সঙ্গেই থাকছে স্ক্রার্চ কার্ডের মাধ্যমে ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকার মূল্যছাড়।