পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকরা বলেন, প্রতিদিন পরিমাণ মতো পানি খাওয়া দরকার। এতে শরীর ভাল থাকে। তবে শুধু শরীর নয়, ত্বক তরতাজা রাখতেও জরুরি হলো পানি। মুখে এটা-সেটা, যা-ই মাখুন না কেন, পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুলেও কিন্তু ত্বক ভাল থাকে। বরফ-পানিতে ত্বকের চর্চা নতুন নয়। আবার জলীয় বাষ্প দিয়েও রূপচর্চার প্রচলন রয়েছে।

কীভাবে ত্বকের যত্ন নেয় পানি?

শারীর বৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, শরীরে বিপাক ক্রিয়ার ফলে তৈরি দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়াসহ নানা কাজে পানির প্রয়োজন। হার্ট, কিডনি বা অন্য কোনো অসুখ না থাকলে চিকিৎসকরা পরিমাণমতো পানি খেতে বলেন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বলছে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ পুরুষের দিনে অন্তত তিন লিটার এবং নারীদের দুই লিটার পানি খাওয়া উচিত।

উপকারিতা

ত্বকে পিএইচ-এর মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে পানি। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে গেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। শুষ্কভাব দূর হয়। ত্বকে জেল্লা ফেরে। অকালে বলিরেখা আটকাতে চোখ, মুখের ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে পানি।

কীভাবে পানি ব্যবহার করবেন?

বাইরে থেকে ঘুরে এসে পরিষ্কার পানির ঝাপটা দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে ত্বকের যত্নে নানাভাবে পানির ব্যবহার হয়। কেউ বরফ-পানি ব্যবহার করেন, কেউ আবার বাষ্পাকারে। তবে পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে পানির তাপমাত্রা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

খুব ঠান্ডা পানিতে মুখ পরিষ্কারের সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনই কিছু অসুবিধাও আছে। একই কথা প্রযোজ্য হালকা কুসুম গরম পানি বা বাষ্পের ক্ষেত্রে। তবে নিয়মিত পানিতে মুখ ধুতে হলে হালকা কুসুম গরম পানি বা ঘরের তাপমাত্রার পানিই ভাল।

বার বার মুখ ধুতে হবে?

মুখে ধূলা থাকলে বা মুখ ঘেমে গেলে অবশ্যই মুখ ধুয়ে নেওয়া যায়। তবে খুব বেশি পানি দিয়ে মুখ ধোয়াও ভাল নয়। ভাল হয়, সকাল ও রাতে দু’বার মুখ ধুয়ে নিলে।

পদ্ধতি

মুখে মেকআপ থাকলে রিমুভার দিয়ে তা তুলে ফেলতে হবে। ধূলা-ময়লা লেগে থাকলে মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করা যায়। প্রয়োজনে এক্সফোলিয়েশন জরুরি।

কোন ধরনের পানি থেকে সাবধান?

ত্বক ভাল রাখার জন্য মুখ ধুতে গেলে পানি নিয়েও সাবধানতা জরুরি। দূষিত পানি, অতিরিক্ত খনিজ যুক্ত পানি বাদ দেওয়াই ভাল। পানির মধ্যে অনেক সময় অণুজীব মিশে থাকে, পানি খাওয়াই হোক বা মুখ ধোয়া— এ ধরনের পানি বিপজ্জনক হতে পারে।