পহেলা বৈশাখে বিশ্বরঙের আয়োজন

নতুন বছরকে বরণ করতে প্রথম দিন পহেলা বৈশাখে চাই নতুন সাজে নতুন পোশাক। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘বিশ্বরঙ’ দীর্ঘ ৩০ বছরের সৃষ্টিশীল ভাবনায় বাংলার ঐতিহ্যকে প্রতিনিয়ত পোশাকে তুলে ধরছে সুনিপুন শৈলীতে, সেই ধারাবাহিকতায় এবারের বৈশাখে মোটিফের উৎস হচ্ছে আমাদের চিরচেনা প্রকৃতি।
প্রকৃতি বলতে এই পৃথিবী তথা সমগ্র সৃষ্টিকে নির্দেশ করে। প্রকৃতি বলতে জাগতিক বিশ্বের মানব সৃষ্ট নয় এমন দৃশ্য-অদৃশ্য বিষয় এবং জীবন ও প্রাণকে বুঝায়। স্বয়ং স্রষ্টার সৃষ্ট গাছপালা, নদীনালা, পশু-পাখি, পাহাড়-পর্বত, সমুদ্র-সমুদ্রের তলদেশ ইত্যাদি বস্তুর মতো মানুষও প্রকৃতির একটি উপাদান মাত্র। তাই ‘বিশ্বরঙ’ বৈশাখ ১৪৩২-এর পোশাক অলংকরণের অনুষঙ্গ হিসেবে প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান তথা সমুদ্র-সমুদ্রের তলদেশকে গ্রাফিক্যাল জ্যামিতিক ফর্মের সমন্বয়ে উপস্থাপন করেছে কাপড়ের মলিন সার্ফেসে সৃষ্টির উল্লাসে।
পোশাকের প্যাটার্নেও এসেছে ভিন্নতা। এবারের বর্ষবরণ-১৪৩২ উৎসবে বিশ্বরঙের পোশাক প্রদর্শনীতে থাকছে শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রিপিস, ফতুয়া, শার্ট, টি-শার্ট, গহনা ইত্যাদি। গরমের কথা মাথায় রেখে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি ও খাদি কাপড়। পোশাকগুলোতে উৎসবের আমেজ ফুটিয়ে তুলতে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে টাই-ডাই, ব্লক, বাটিক, অ্যাপলিক, ক্যাটওয়ার্ক, স্ক্রিন প্রিন্ট এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রিন্ট ইত্যাদি। বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গৌরবময় উৎসব পহেলা বৈশাখকে বরণ করতে বিশ্বরঙের পোশাক প্রদর্শনী চলবে সব শো-রুমে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। সঙ্গে থাকছে কেনাকাটায় শুভানুধ্যায়ীদের জন্য বৈশাখ-চৈত্র সংক্রান্তির ২০ শতাংশ ছাড়। চলবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
সুদীর্ঘ ৩০ বছর দেশব্যাপী বিশ্বরঙের শো-রুম শুভানুধ্যায়ীদের আগ্রহী পদচারণায় মুখরিত হয়েছে কৃতজ্ঞচিত্তে বারবার। শো-রুমে গিয়ে কেনাকাটার পাশাপাশি যে কেউ ঘরে বসেও শো-রুমের সব সামগ্রী কেনাকাটা করতে পারবেন অনলাইনে।