কিডনি রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে : বিশেষজ্ঞ মতামত
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/03/06/kedney-desease.jpg)
দেশের খ্যাতনামা চিকিৎসকরা বলেছেন, দিনদিন কিডনি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী আশঙ্কা করা হচ্ছে—২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি কিডনি বিকল রোগী সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার অভাবে মারা যেতে পারে।
আজ সোমবার (৬ মার্চ) রাজধানীর ইনসাফ বারাকা কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সভায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান তুলে ধরে চিকিৎসকরা জানান, প্রাণঘাতি হিসেবে কিডনি রোগের অবস্থান দুই যুগ আগে ছিল ২৭তম। বর্তমানে এটা দাঁড়িয়েছে সপ্তমে। ২০৪০ সালে পঞ্চম অবস্থানে পৌঁছাবে।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা একুশে পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ খান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাসপাতালের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলতাফ হোসেন।
সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও বিশ্ব কিডনি দিবসকে কেন্দ্র করে ১৫ দিনব্যাপী চিকিৎসা ক্যাম্পের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল। এসময়ে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, ‘আমি কোনো দলের রাজনীতি করি না। সত্যি কথা বলছি—দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। তবে, এই দেশে দুর্নীতি টাকা চুরি দায়িত্ব অবহেলাও হয়। দেশে চুরি-দুর্নীতি হচ্ছে, তারপরও দৃশ্যমান উন্নয়ন হচ্ছে।’
ডা. ফিরোজ খান বলেন, ‘আগের তুলনায় দেশে কিডনি চিকিৎসার উন্নতি হয়েছে। শুধু ঢাকায় ১২২টি কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার রয়েছে। প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০টি ডাইলাইসিস বেড থাকতে হবে। জেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে ২০ বেড থাকতে হবে।