ভারতে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/04/09/baagh.jpg)
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ দেশ ভারতে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা। চার বছরের ব্যবধানে দেশটিতে বেড়েছে ২০০ বাঘ। ২০২২ সালে দেশটিতে বাঘ শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ১৬৭টি। সম্প্রতি করা পরিসংখ্যানের বরাতে আজ রোববার (৯ এপ্রিল) দশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ তথ্য জানিয়েছেন। ভারতের বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভাষণ দেন মোদি। খবর এনডিটিভির।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৬ সালে ভারতে মোট বাঘ ছিল এক হাজার ৪১১টি। ২০১০ সালে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৭০৬ তে। আর চার বছর পর অর্থাৎ, ২০১৪ সালে দুই হাজার ২২৬টি বাঘের অস্তিত্ব মিলে। যা ২০১৮ সালে গিয়ে দাঁড়ায় দুই হাজার ৯৬৭-তে। আর ২০২২ সালে বাঘের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ১৬৭টিতে।
ভারতের বন্য প্রাণীটির এই সংখ্যা গোটা বিশ্বের মোট বাঘের ৭০ শতাংশ বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রজেক্ট টাইগারের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের উদ্বোধনী অধিবেশনে এ তথ্যটি সামনে আনেন মোদি। একইসঙ্গে অনুষ্ঠানে ‘আন্তর্জাতিক বিগ ক্যাট অ্যালায়েন্স’ চালু করেন তিনি, যা বাঘ, সিংহসহ বিশ্বের সাতটি বড় বিড়াল প্রজাতির প্রাণীর সুরক্ষা ও সংরক্ষণের ওপর দৃষ্টি দিবে।
ভারতের কর্ণাটকের মিসৌরিতে হওয়া অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, ‘বাঘের সংখ্যা বাড়া শুধু ভারতের অর্জন নয়, এটি গোটা বিশ্বের অর্জন। ভারত এমন একটি দেশ যেখানে প্রকৃতি রক্ষা করা সংস্কৃতির অংশ।’
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2023/04/09/baagh-in.jpg)
আল-জাজিরা বলছে, ১৯৭৩ সালে প্রজেক্ট টাইগার চালু করে ভারত। বাঘসহ বড় বিড়াল প্রজাতির অস্তিত্ব সংরক্ষণে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সময় আবাসস্থল হারানো ও স্থানীয় শিকারিদের হাতে মারা পড়ছিল অসংখ্য বাঘ। এমনকি মানুষের ওপর হামলার জেরেও মারা পড়ছিল প্রাণীটি। এক প্রকার অস্তিত্ব সংকটে ছিল বিড়াল প্রজাতির এই প্রাণীটি। ৫০ বছর আগে ভারতে এক হাজার ৮০০টি বাঘ ছিল বলে ধারণা করা হয়।