ডুবোজাহাজ টাইটানে নিহত অভিযাত্রীর আত্মীয় জানালেন তদন্তের দাবি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/06/23/ttaaittaan_chbi.jpg)
আটলান্টিক সাগরের অতলে বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজ টাইটানে যে পাঁচ হতভাগ্য অভিযাত্রীরা ছিলেন তাদের মধ্যে ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিংয়ের ভাগ্নি ও ধর্মকন্যা লুসি কসনেট মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে লুসি কসনেট বেসরকারি ডুবোজাহাজটির পরিচালনাকারী সংস্থা ওশানগেট এক্সপিডিশনের কাছে এই বিয়োগান্তক ঘটনার আগে কী ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা জানতে চেয়েছেন।
কসনেট বলেন, ‘বিষয়টির পূর্ণ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। খুঁজে বের করা দরকার কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল আর কেন অভিযাত্রীরা বেঁচে ফিরতে পারলেন না।’
লুসি কসনেট আরও বলেন, ‘যখন আমি খবরে পড়লাম যে উদ্ধারকারীরা এক ধরনের আঘাত করার মতো শব্দ শুনতে পেয়েছে, তখন আমি আশাবাদী হয়ে ওঠেছিলাম। আমি মনে করেছিলাম, ওই শব্দ ডুবোজাহাজটি থেকে আসছিল। তবে, গতকাল ছিল সবচেয়ে খারাপ সময়, যখন আমি শুনলাম তারা ফিরছে না, তারা সবাই মারা গেছেন।’
টাইটানের অভিযাত্রীদের মধ্যে আরও ছিলেন—পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান, ওশানগেট এক্সপেডিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ এবং ফ্রান্সের সাবমেরিন অপারেটর পল হেনরি নারজিওলেট। তারা সবাই ডুবে যাওয়া জাহাজ টাইটানিক দেখতে সাগরের নিচে এই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন।
এদিকে, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ যেখানে রয়েছে সেই স্থানটিতে প্রথম নামা ডুবসাঁতারু ডিক বার্টন ডুবোজাহাজ হিসেবে টাইটানের নকশা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ ৩৩ বার দেখে আসা ও ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া টাইটানিক ছবির পরিচালক জেমস ক্যামেরুন বলেছেন যে তিনি টাইটান হারিয়ে যাওয়ার পর থেকেই একটি বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছিলেন।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2023/06/23/ttaaittaan_inaar_1.jpg)
সবশেষ মার্কিন নৌবাহিনী সাগরের তলদেশ থেকে একটি ‘বিস্ফোরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শাব্দিক অসঙ্গতি’র কথা তুলে ধরে, যা গত রোববার টাইটানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে পাওয়া গিয়েছিল।