গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন চলবে : মির্জা আব্বাস
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/02/19/mirjaa_aabbaas_0.jpg)
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমি এই সরকারকে এইটুকু বলবো, জেলখানায় আমাদের কর্মী যারা আছে, তাদেরকে ভালোভাবে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য। অপ্রতুল চিকিৎসার কারণে বহু কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মনে রাখতে হবে আমাদের গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন চলবে।
সাড়ে তিন মাস কারাগারে বন্দি থাকার পর আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটের দিকে কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে মির্জা আব্বাস একথা বলেন।
কারাগারে চিকিৎসার অভাবে নেতা-কর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে অভিযোগ করে তাদের সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আজকে শুধু বলবো, আমাদের মুক্তির আন্দোলন যেভাবে হোক চলবে। জেলখানার ভেতরে এখনো আমাদের অনেক কর্মী আছে, অনেক কর্মীকে সাজা দিয়েছে। আমাদেরকে প্রথমে ওদেরকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ কর্মী ছাড়া দল কখনো বাঁচে না। পানি ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচতে পারে না, তেমনি কর্মী ছাড়া দলও বাঁচবে না।
মির্জা আব্বাস ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে উপস্থিত হলে দলের কয়েকশ নেতা-কর্মীরা মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে তাকে বরণ করে নেন। এসময় নেতা-কর্মীরা ‘মির্জা আব্বাস ভাইয়ের ভয় নাই, আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘মির্জা আব্বাস ভাইয়ের মুক্তি, আন্দোলনের শক্তি, ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।’ কারাফটকে মির্জা আব্বাসকে ফুল দিয়ে বরণ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মহিলা দলের সভানেত্রী ও তার সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাস, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীসহ দলটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগসহ ১১টি মামলায় জামিন পেয়ে সোমবার মুক্তি পান মির্জা আব্বাস। আজ সোমবার সকালে ঢাকা রেওলয়ে থানার মামলায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস উদ্দিন শুনানি শেষে তাকে জামিন দেন।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, সব কটি মামলায় জামিন হওয়ার পর বিকেলে জামিননামা কারাগারে পোঁছানোর পরেই মির্জা আব্বাস মুক্তি পান।
গত বৃহস্পতিবার এই কারাগার থেকে মুক্তি পান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার পর গত ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ ১১টি মামলা দেওয়া হয়।