বিয়েতে রাজি হননি, তাই এমন মারধর!
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/12/05/photo-1512495157.jpg)
মেয়েটি পরীক্ষা দিতে কলেজে যাচ্ছিলেন। বিমল জলদাস নামে এক বখাটে যুবক মেয়েটিকে পথে আটকায়। মেয়েটির চুল ধরে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে ৫০ মিটার পর্যন্ত নিয়ে যায়। তারপর শুরু করে চড় আর লাথি, ছিঁড়ে ফেলে জামা।
মেয়েটি ওই বিমলের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি। এটিই ছিল ‘অপরাধ’।
আজ মঙ্গলবার বান্দরবান জেলা সদরের কালাঘাটায় বন বিভাগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটি স্থানীয় একটি কলেজের ছাত্রী। ঘটনার পর মেয়েটি আবার বাসায় যান, কাপড় বদলে পরীক্ষা দিতে যান।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীর ওপর হামলা চালায় বিমল জলদাস নামের ওই বখাটে যুবক। বিমল ওই ছাত্রীর চুল ধরে প্রায় ৫০ মিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। পরে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারে ছাত্রীকে। হামলায় ওই ছাত্রী শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছেন। ছিঁড়ে যায় পরনের জামাও। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে যুবক দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ওই কলেজছাত্রী বলেন, ‘সকালে ৯টায় বাসা থেকে বের হয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় জলদাস আমার ওপর হামলা চালায়। পরে বাসায় গিয়ে কাপড় পাল্টিয়ে পরীক্ষা দিতে যাই। পরীক্ষার পর সদর হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।’
ওই ছাত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগে হঠাৎ একদিন বিমল আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি তার প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় আমার ওপর হামলা চালিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। এলাকার লোকজন সবকিছুই দেখেছে, আমি বিচার চাই। এর আগেও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় বিমল জলদাসের ছোট ভাই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। ওই সময় স্কুলের যাবার পথে প্রায় বিরক্ত করত সে।’
ওই ছাত্রীর মা বলেন, ‘বিমল জলদাস কালাঘাটা জেলেপাড়ার বাসিন্দা। পরীক্ষা দিতে যাবার পথে অনেক লোকজনের সামনেই আমার মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছে বিমল। প্রায় সময় সে আমার মেয়েকে বিরক্ত করত। কিন্তু পাশের বাড়ির ছেলে হওয়ায় এতদিন ধৈর্য ধরে ছিলাম। হামলাকারীর বিচার চেয়ে আমি বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।’
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘ছাত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের খবর পেয়েছি। ছাত্রীর মা থানায় লিখিতভাবে একটি অভিযোগও দিয়েছেন। ছেলেটিকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনার পর থেকে বিমল জলদাসের ফোন নম্বরটিও বন্ধ আছে।