উত্তর কোরিয়ার কিম প্রকাশ্যে আসতে না আসতেই দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/05/03/thm.jpg)
সব গুজব পাশ কাটিয়ে গত শুক্রবার ২০ দিন পর জনসমক্ষে এসেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। কিন্তু তিনি প্রকাশ্যে আসতে না আসতেই আজ রোববার প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংঘাতে জড়াল তাঁর দেশের সেনারা।
দুই দেশ সংঘাতে জড়ালেও প্রথম আঘাতটা হেনেছে উত্তর কোরিয়াই। ডিমিলিটারাইজড জোনের অভ্যন্তরে দক্ষিণ কোরিয়ার চেওরওনের নিরাপত্তা চৌকিতে আজ সকালে গুলিবর্ষণ করে উত্তর কোরিয়া। এরপর পাল্টা গুলিবর্ষণ করে দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়া হেরান্ডের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এ সংঘাতে কোনো মৃত্যু অথবা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য আমরা আন্তঃকোরীয় যোগাযোগ লাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করছি। এ ছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’
এদিকে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তৃতীয় আন্তঃকোরীয় সম্মেলনে ডিমিলিটারাইজড জোনে (ডিএমজেড) সংঘাত বন্ধের জন্য উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ চুক্তির পরই প্রথমবারের মতো উত্তেজনা তৈরি করল উত্তর কোরিয়া।
এর আগে মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে দিয়ে প্রায় ২০ দিন পর প্রকাশ্যে আসেন কিম জং-উন। গত শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ একটি সার কারখানা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কিম যোগ দিয়েছেন বলে খবর প্রচার করে।
কেসিএনএর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, শুক্রবার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছাকাছি সাঞ্চিয়ন নামক জায়গায় একটি সার কারখানার উদ্বোধন করেছেন কিম। এ সময় তাঁর সঙ্গে বোন কিম ইয়ো-জং ও দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা ছিলেন। ফিতা কেটে কারখানাটি উদ্বোধন করেন কিম।
গত ১২ এপ্রিলের পর থেকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না উত্তর কোরিয়ার এই একনায়ক শাসককে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব উঠেছিল, কিম মারা গেছেন। গত ১৫ এপ্রিল পিতামহ এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুংয়ের জন্মদিন অনুষ্ঠানেও অনুপস্থিত ছিলেন কিম। বিষয়টি গুজবের আগুনে ঘি ঢালে। এরপর গত সপ্তাহে কোরিয়ান পিপলস রেভল্যুশনারি আর্মির ৮৮তম বার্ষিকীর মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি কিমকে। এসব বিষয় নজরে এনে কিম মারা গেছেন আশঙ্কার খবর প্রকাশ করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গণমাধ্যম কোরিয়া জং আং ডেইলি জানায়, করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কিমের এক নিরাপত্তারক্ষী। আর এ কারণেই বেশ কয়েক দিন ধরে আইসোলেশনে রয়েছেন কিম।
শুক্রবার প্রকাশ্যে এসে মৃত্যুর গুঞ্জনকে মিথ্যা প্রমাণ করলেও এই ২০ দিন কেন বিশ্ববাসীর আড়ালে ছিলেন কিম, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেল।