ফের মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়া, দেখুন তার কিছু অস্ত্র
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/03/photo-1443884712.jpg)
সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। মাত্র কয়েকদিন ধরে চলছে এই হামলা। তবে এরই মধ্যে বিশ্বরাজনীতিতে ও কূটনীতিতে বড় প্রভাব ফেলেছে। গত শতাব্দীর ’৯০-এর দশকের শুরুর দিকেই সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরিয়ায় হামলা চালাতে সেখানে ৫০টি বিমান ও দুই হাজার নৌ সেনা পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে আছে সহায়ক বাহিনী।
মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য অস্ত্রের পরিচিতি একনজরে।
যুদ্ধবিমান : সুখোই এসইউ-২৪ ও এসইউ-২৫
সোভিয়েত আমলের মডেলের যুদ্ধবিমান দুটি রাশিয়ার বিমানবাহিনীর বেশ নির্ভরযোগ্য। সুখোইয়ের এই দুই যুদ্ধবিমান চেচনিয়া ও ইউক্রেনে ব্যবহার হয়েছে। পুরোনো মডেলের বিমান সিরিয়ার হামলার জন্য আনার অন্যতম কারণ হলো রাশিয়ার ঘাঁটি সিরিয়ারই সমুদ্র উপকূলে করা হয়েছে। তাই হামলার জন্য আধুনিক সুপারসনিক বিমান প্রয়োজন নেই। আর সিরিয়ার বিমানবাহিনীতে সুখোই এসইউ-২৫ বিমান থাকলেও তা রাতে যুদ্ধ করার উপযোগী নয়। অপরদিকে রাশিয়া নিজেদের এমন বিমানগুলোয় বিশেষ প্রযুক্তি যোগ করে রাতেও যুদ্ধ করার উপযোগী করেছে।
সুখোই এসইউ-৩০ এম
আকাশযুদ্ধের জন্য বিশেষভাবে তৈরি সুখোই এসইউ-৩০ মধ্যপ্রাচ্যে বয়ে আনাকে অনেকে রহস্যজনক মনে করেন। কারণ আইএস, সিরিয়া বা আসাদ সরকারের বিরোধী কারোরই এমন কোনো যুদ্ধবিমান নেই যাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে। তবে অনেকেই মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে চাপে রাখতেই বিমান এনেছে রাশিয়া।
সুখোই এসইউ-৩৪
অত্যাধুনিক ও নতুন যুদ্ধবিমান সুখোই এসইউ-৩৪। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিমান স্থলে হামলা ও আকাশযুদ্ধ দুই ক্ষেত্রেই সক্ষম। এই প্রথম যুদ্ধক্ষেত্রে এই বিমান ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই সুখোই এসইউ-৩৪-এর জন্য এটি পরীক্ষাও বলা চলে।
প্যান্টসার এস-১ বিমান বিধ্বংসী ব্যবস্থা
বড় ট্রাকের ওপর বসানো রাডারভিত্তিক বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। রাশিয়ার বিমানঘাঁটি রক্ষাতেই মূলত এটি কাজ করবে। স্বল্প পরিসরে কাজের ক্ষমতা থাকায় এর কৌশলগত দিক নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে অন্যদেশের বিমানবাহিনীর জন্য এটি একধরনের সতর্কবার্তার মতো।
নৌবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা
নৌযুদ্ধের উপযোগী পুরো একটি বাহিনী সিরিয়ার সমুদ্রে মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। এই বাহিনীর কাছে আছে জাহাজ থেকে ছোড়ার মতো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এই নৌবাহিনী বড় একটি এলাকার আকাশপথ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে। আর এমন নৌবাহিনী মোতায়েন রাখা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিও রাশিয়ার একধরনের সতর্কবার্তা।