দীপন হত্যা : সাজাপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/02/10/dipon-2_0.jpg)
জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যার মামলায় সাবেক মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ আট জঙ্গিকে দেওয়া নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে গত সোমবার হাইকোর্টে এই ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয় বলে আজ বুধবার জানান সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
নিয়ম অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এই মামলায় পেপারবুক প্রস্তুত করবেন। সাধারণত বিজি প্রেসে পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। পেপারবুক প্রস্তুত হলে প্রধান বিচারপতি মামলাটি হাইকোর্টে শুনানির জন্য একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের।
আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক। বাকিরা কারাবন্দি। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জিয়াসহ দুজন পলাতক। আসামিরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আক্রান্ত হন দীপন। তাঁকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। ওই দিনই নিহতের স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ। এতে বলা হয়, আনসার আল ইসলাম নামের জঙ্গি দলের সামরিক কমান্ডারের দায়িত্বে থাকা জিয়ার পরিকল্পনা এবং নির্দেশেই দীপনকে হত্যা করা হয়।