হাইতির প্রেসিডেন্টকে হত্যা নয়, ‘আটকের’ পরিকল্পনা ছিল
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/07/12/haiti.jpg)
হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসকে হত্যা নয়, তাঁকে আটক করার পরিকল্পনা ছিল—মোয়েস হত্যার ঘটনায় আটক হওয়া কলম্বিয়া ও হাইতি বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের ফাঁস হওয়া স্বীকারোক্তির নথি থেকে এমনটি জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি হেরাল্ড এবং তদন্ত কাজে জড়িত একজনের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রেসিডেন্ট হত্যার ঘটনায় আটক করা ১৯ জনের অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন এমন একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মায়ামি হেরাল্ড জানায়, তাদের লক্ষ্য ছিল প্রেসিডেন্টকে আটক করে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে নিয়ে যাওয়া।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাইতি বংশোদ্ভূত দুই আমেরিকান জেমস সোলাজেস ও জোসেফ ভিনসেন্ট তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন, তাঁরা কলম্বিয়ার কমান্ডো দলে অনুবাদক হিসেবে ছিলেন। তাঁরা দুজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা হয়েছে।
হাইতির পুলিশ এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আটক হওয়া কলম্বিয়ার নাগরিকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতে হাইতিতে এসেছিলেন। এমনকি তাঁদের কেউ কেউ প্রেসিডেন্ট মোয়েসের নিরাপত্তায়ও নিয়োজিত ছিলেন।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/07/12/haiti_insert.jpg 687w)
গত বুধবার সকালে হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের বাসায় আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েস। হাইতির সরকার বলছে, কলম্বিয়ার ২৬ জন এবং দুজন হাইতি বংশোদ্ভূত আমেরিকানের সংঘবদ্ধ একটি দল প্রেসিডেন্ট মোয়েসকে হত্যা করেছে।
এদিকে, হাইতিতে সেনা পাঠানোর আহ্বানে সাড়া এখনও সাড়া দেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রকে সেনা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে হাইতি সরকার। গতকাল এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা জানান, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একটি কারিগরি দল পাঠানো হচ্ছে।