পশ্চিম আফ্রিকায় প্রাণঘাতী ভাইরাস ‘মারবার্গ’ শনাক্ত, একজনের মৃত্যু
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/08/10/africk-t.jpg)
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনিতে প্রাণঘাতী ভাইরাস মারবার্গে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, ইবোলার মতো এই ভাইরাসটির আক্রমণে শরীরে জ্বর দেখা দেয়। ভাইরাসটি ব্যাপকমাত্রায় সংক্রমণে সক্ষম। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে এমনটি জানানো হয়েছে।
১৯৬৭ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত মারবার্গ ভাইরাস ১২ বার ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। মূলত এর আগে দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে এর প্রকোপ দেখা গেছে। এবার পশ্চিম আফ্রিকায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
গত সপ্তাহে গিনিতে প্রথম মারবার্গ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। মাত্র দুমাস আগে দেশটি ইবোলামুক্ত ঘোষণা করেছে। এ বছরের শুরু থেকে গিনিতে ইবোলায় ১২ জনের মৃত্যু হয়।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/08/10/africk-i.jpg 687w)
গতকাল সোমবার ডব্লিউএইচও জানায়, প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে দ্রুত তাঁর শরীরের অবস্থার অবনতি হয়। প্রথমে গিনির জাতীয় ল্যাবে এবং পরে সেনেগালে নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
ডব্লিউএইচওর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক মাতসিদিসো মোয়েতি বলেন, ‘মারবার্গ যেহেতু দ্রুত সংক্রমণ হয়, এজন্য এর সংক্রমণ রেখা ধরে এর গতিরোধ করতে হবে। ইবোলা ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছি আমরা।’
লাইবেরিয়া ও আইভরি কোস্ট সীমান্তবর্তী গিনির গুয়েকেদ্যু জেলায় প্রথম মারবার্গ শনাক্ত হয়েছে। এ বছর ইবোলাও জেলাটিতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছিল। দক্ষিণ-পূর্ব গিনির একই বনজ এলাকায় ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের ভয়াবহ ইবোলা মহামারি দেখা দেয়।
ডব্লিউএইচও জানায়, আগের কয়েকবারে এই মারবার্গ ভাইরাসে ২৪ শতাংশ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছিল।
মারবার্গের উপসর্গ হিসেবে মাথা ব্যথা, রক্ত বমি, পেশিতে ব্যথা এবং মুখ, নাক ও পায়ুপথ দিয়ে রক্ত পড়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।