আইএসের শত্রুর তালিকায় শীর্ষে মোদি
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শত্রুর তালিকায় শীর্ষে আছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আইএস জানিয়েছে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মোদি সব সময় উদ্যত। আর হামলার পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের কথা জানিয়েছে আইএস।
গতকাল বৃহস্পতিবার অনলাইনে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আইএস বলেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন ডানপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা। জঙ্গিগোষ্ঠীর বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম সম্পূর্ণ এককভাবে নেওয়া হয়েছে। এর আগে আর কোনো দেশের রাষ্ট্রনায়কের নাম এতটা নির্দিষ্ট করে আইএস বলেনি। ফলে স্পষ্ট, বিশ্বের ভয়ানক এই জঙ্গিগোষ্ঠীর শত্রুর তালিকার শুরুতেই আছেন নরেন্দ্র মোদি।
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বের মানচিত্র এবং চরিত্র বদলে দেওয়া হবে। প্রত্যেক দেশে যুদ্ধ শুরু হবে। সারা বিশ্বে প্রায় ৫০ কোটি মুসলমান বসবাস করে। এই লড়াইকে তারা বিধর্মীদের বিরুদ্ধে লড়াই বলেও উল্লেখ করেছে। ভারতকে লক্ষ্য করার কারণ হিসেবে আইএস জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি রাজনৈতিক ইউনিট আছে। তারাই ভারতে মুসলিমবিরোধী প্রচারের হাতিয়ার। ওই সংগঠনই মুসলিমবিরোধী যুদ্ধের জন্য ব্যক্তিগত সেনা জোগাড় করছে। তারাই মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, আইএসের বিবৃতির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ব্ল্যাক ফ্ল্যাগস ফ্রম ইসলামিক স্টেট’। জঙ্গিগোষ্ঠীর নতুন বিবৃতি নিয়ে এরই মধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিষয়টি নিয়ে দিল্লির নর্থ ব্লকে গোয়েন্দা সংস্থা এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং-এর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল কয়েকদিনের মধ্যে আলাদাভাবে ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড, স্পেশ্যাল সিকিউরিটি গার্ডসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসবেন।
জানা গেছে, ভারতের প্রতিটি রাজ্যের রাজধানী শহরগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। প্রতিটি রাজ্যের মানচিত্র, আয়তন, জনসংখ্যা, রাস্তা, নদী, বিমানবন্দরসহ উল্লেখযোগ্য স্থানের তথ্য নেবে কেন্দ্র।