পদত্যাগের গুঞ্জনে বিএসইসি চেয়ারম্যানের ক্ষোভ

পদত্যাগের গুঞ্জনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। আজ সোমবার (১৯ মে) সকালে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘সচিবালয়ে আসছি প্রধান উপদেষ্টার পাঁচটি নির্দেশনা নিয়ে। আর আপনারা (কিছু গণমাধ্যম) বানিয়ে দিলেন আমার পদত্যাগ। সারাদিন খালি গুজব ছড়ায়, আমি পদত্যাগ করেছি। বাজারে কি এর একটা প্রভাব পড়ে না?’
রাশেদ মাকসুদ আরও বলেন, ‘আপনারাতো (কিছু গণমাধ্যম) নিউজ বানিয়ে দিয়েছেন। কোথা থেকে এ সমস্ত নিউজ (পদত্যাগের গুজব) বানান এবং পান। সারা দিন খালি এগুলোই ছড়ায়। এর থেকে ভালো কিছু কি নাই বলেন? সচিবালয়ে আমি আসছি প্রধান উপদেষ্টার পাঁচটি নির্দেশনা নিয়ে, এতক্ষণ তা নিয়েই আলোচনা করেছি। আমি এসেছি একটা কাজে আর আপনারা বানিয়ে দিলেন এগুলো (পদত্যাগ)। এটার একটা ইফেক্ট বাজারে পড়ে না?’
‘প্রধান উপদেষ্টার পাঁচটি নির্দেশনার বেশিরভাগই আমাদের কাজ না’-উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সব কাজ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের। সেটার কো-অর্ডিনেশন আপনারা করবেন। এটার জন্যই আজকে আসা। এটাকে আপনারা (কিছু গণমাধ্যম) বানিয়ে দিলেন-আমি পৌনে ১০টায় কেন আর্জেন্ট এসেছি, আমি পদত্যাগ করব। এই যদি হয়, একটা মানুষ কাজ করবে কী?’
বারবার কেন গুঞ্জন ছড়াচ্ছে, আপনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘সবাই জানে ১২ বছর আমেরিকায় আমার ট্যাক্স ফাইল করতে হয়েছে। আমারতো ওখান থেকে কোনোদিন দেশেই ফেরার দরকার ছিল না। আমি সাত বছর ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্কের চাকরিতে ছিলাম। আমার পেরোল হতো নিউইয়র্কে, বোনাস হতো নিউইয়র্কে, আমাকে ট্যাক্সফাইল করতে হচ্ছে। এই সমস্ত খবর যে এরা ছড়ায় এর কোনো মানে আছে! প্রাইভেট সেক্টরের চাকরি ছেড়ে সরকারি বেতনে কেন আসছি? দেশের কাজ করার জন্য।’
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার যে পাঁচটি নির্দেশনা, সেটা কে, কোথায়, কীভাবে করবে? কাকে কী দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী বাজেট সামনে রেখে স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে আজকেও আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা বিষয়গুলো দেখছেন।