ইউরোর ফাইনালের স্বপ্নে বিভোর ইংল্যান্ড
কোনো বড় টুর্নামেন্টে ইংলিশদের জয় মানেই নাকি ‘ফুটবলের ঘরে ফেরা’। যেহেতু খেলাটির জনক হিসেবে নিজেদেরই মানে ইংল্যান্ড তাই এই ভাবনা। সেদিক দিয়ে এবার ফুটবল ঘরে ফেরানোর খুব কাছে ইংলিশরা। চলতি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। আর এক ধাপ পার হলেই স্বপ্নের ফাইনালে পা রাখবে ইংল্যান্ড। সেই ফাইনালের স্বপ্নেই আপাতত বিভোর ইংলিশরা।
রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোয় গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ইউক্রেনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে শেষ চারে উঠেছে ইংল্যান্ড। ফাইনালের এত কাছে গিয়ে ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখছেন দলটির কোচ সাউথগেট। কারণ এখনো এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলা হয়নি ইংল্যান্ডের। ১৯৬৮ ও ১৯৯৬ আসরে সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠেছিল ইংলিশরা। তাই এবার স্বপ্ন দেখতেই পারে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের বড় পরীক্ষা ছিল শেষ ষোলোতেই। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ২০১৪ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। ওই বাধা কাটিয়ে আসায় স্বাভাবিকভাবে কোয়ার্টার ফাইনালে ফেভারিট ছিল ইংলিশরা। মূল লড়াইয়েও ফেভারিটের মতো হয়েই খেলেছেন হ্যারি কেইন-হেন্ডারসনরা। শেষ চারে তাদের প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক। ওই ম্যাচেও চোখ থাকবে ইংলিশদের উপরই।
ফাইনালের ভাবনা নিয়ে কোচ সাউথগেট বলেন, ‘এখনও অনেক দূর যেতে হবে আমাদের। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই পরের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি আমি। আমাদের সামনে এখন এটিই লক্ষ্য। কখনও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে পারিনি আমরা। এবার আমাদের জন্য আরেকটি সুযোগ ইতিহাস গড়ার।’
কোচ আরো বলেন, ‘আমরা সেমি-ফাইনালে আসতে পেরেছি স্পিরিটের কারণে। অবশ্যই আমাদের খেলার মানও গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক দলকেই দেখেছি, এই ছেলেদের মতো স্পিরিট নেই দেখে ছিটকে পড়েছে।’
প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক নিয়েও সতর্ক সাউথগেট, ‘আমরা জানি, ডেনমার্ক কতটা ভালো দল এবং এই টুর্নামেন্টে তারা তা দেখিয়েছে। এরিকসেনের সঙ্গে যা হয়েছে, সেটির আবেগের ঢেউয়ে তারা এগিয়ে চলেছে। এই ম্যাচের অংশ হতে পারা হবে দারুণ। ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে এরকম ম্যাচের অভিজ্ঞতা ওদের চেয়ে আমাদের বেশি। এই ম্যাচে তা কাজে লাগাতে হবে।’