উরুগুয়েকে হারিয়ে নক আউট পর্বে পর্তুগাল

ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। লড়াই করেও জালের দেখা পায়নি উরুগুয়ে ও পর্তুগাল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তাতে দুদলের লড়াইয়ে জমে ওঠে ম্যাচ। জমে ওঠা ম্যাচেই উত্তাপ বাড়িয়ে দেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। দুর্দান্ত গোলে গড়ে দেন ম্যাচের ভাগ্য। তাঁর জোড়া গোলে ভর করে উরুগুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে উঠেছে পর্তুগাল।
কাতার বিশ্বকাপে সোমবার দিবাগত রাত ১টা অনুষ্ঠিত ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে পর্তুগাল। এবারের বিশ্বকাপে ফ্রান্স ও ব্রাজিলের পর তৃতীয় দল হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকেট পেয়েছে পর্তুগাল।
এবারের বিশ্বকাপের বেশির ভাগ ম্যাচের ফলই আসছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমার্ধে থাকতে হচ্ছে গোলশূন্য। পর্তুগাল বনাম উরুগুয়ের ম্যাচেও তাই ঘটেছে। প্রথমার্ধে জালের দেখা পায়নি কোনো দলই। গোলহীন থেকে বিরতিতে গেছে দুদল। বিরতি থেকে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে পুরো ম্যাচে উরুগুয়ে শিবিরে ১৫বার আক্রমণ করে পর্তুগাল। যার মধ্যে ৩টি ছিল অনটার্গেট শট। বিপরীতে ১১বার আক্রমণ করে জালের দেখা পায়নি উরুগুয়ে।
প্রথমার্ধের পুরো সময়ে আক্রমণে গিয়েও তেমন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেননি রোনালদোরা। বারবারই ব্যর্থ হইয়েছেন ফিনিশিংয়ে গিয়ে। উল্টো ৩২ মিনিটে অল্পের জন্য বেঁচে যান রোনালদোরা। বেন্টাকুর বল পেয়েই ডি বক্সে ড্রিবলিং করে ঢুকে যান। তবে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান পর্তুগীজ গোলরক্ষক। এগিয়ে এসে শট রুখে দিয়ে বল নিয়ে নেন নিজের নিয়ন্ত্রণে। এরপর কর্নার পেয়েও লিড নিতে পারেনি উরুগুয়ে। বাকি সময়ে গোল না আসলে গোলহীন থেকেই মাঠ ছাড়ে দুদল।
বিরতির পর ৫৪ মিনিটে গোলের দেখা পায় পর্তুগাল। ডি বক্সের কিছুটা দূর থেকে ৬ দারুণ একটু ক্রস করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। দৌড়ে এসে তাতে রোনালদো হালকা মাথা স্পর্শ করে জালে পাঠান রোনালদো। গোল করার আনন্দে মেতে ওঠেন রোনালদো। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই জানা যায়, তাঁর মাথায় বল স্পর্শ করেনি। ফলে, গোলটি লেখা হয় ফার্নান্দেজের নামের পাশে।
ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে রোনালদোকে তুলে নেন কোচ। ম্যাচের ৯০তম মিনিটে লুইস সুয়ারেজের হাতে বল লেগে গেলে পেনাল্টি পেয়ে যায় পর্তুগাল। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি ফার্নান্দেজ। সফল স্পট কিকে স্কোরলাইন ২-০ করেন ফার্নান্দেজ। যাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে পারে পর্তুগিজরা।