চার সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার ইতিহাস গড়া জয়
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/04/18/sri.jpg)
আয়ারল্যান্ডের শেষ উইকেট পতনের পর খুব বেশি উল্লাস নেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের মধ্যে। জয়টা প্রত্যাশিত ছিল। তবে এতটা হেসেখেলে, রেকর্ড করে জিতবে; ম্যাচ শুরুর আগে শ্রীলঙ্কা নিজেরাও কি ভেবেছিল? হয়তো না। সে যা’ই হোক, আইরিশদের আড়াই দিনে হারানো টেস্টে রেকর্ড গড়েছে লঙ্কানরা। গল টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ২৮০ রানের ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে শ্রীলংকা।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৯১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। এক ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পান চার লঙ্কান ব্যাটার। ২৩৫ বলে ১৭৯ রান করেন করুনারত্নে। এটিই লঙ্কানদের মধ্যে ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। ১৭৯ রান করে মার্ক অ্যাডাইরের শিকারে পরিণত হন হন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪০ রান করে জর্জ ডকরেলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন কুশল মেন্ডিস।
১০৪ রান করে সাদিরা সামারাবিক্রম ও ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন দিনেশ চান্দিমাল। এই দুজন শতক পূর্ণ করার পর ইনিংস ঘোষণা করেন করুনারত্নে।
শ্রীলঙ্কায় এর আগে টেস্ট খেলেনি আয়ারল্যান্ড। চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে হারের মুখ দেখেছিল আইরিশরা। উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলার সামান্য অভিজ্ঞতা থাকলেও প্রচন্ড গরম ও লঙ্কান বোলারদের বোলিং তোপে দাঁড়াতেই পারেনি আইরিশরা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। দলের ৭ জন ব্যাটার ব্যর্থ হন দুই অঙ্কের রান ছুঁতে। যার মধ্যে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন চারজন! সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন জেমস ম্যাককলাম, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন হ্যারি টেক্টর।
প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের পক্ষে ৫২ রান দিয়ে ৭ উইকেট পান প্রভাত জয়াসুরিয়া।
ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাটিংয়ে নামে আইরিশরা। দ্বিতীয় ইনিংসেও বদলেনি ভাগ্য। রমেস মেন্ডিস ও জয়াসুরিয়ার বোলিং তোপে গুটিয়ে যায় ১৬৮ রানে। মেন্ডিস ৭৬ রানে ৪ ও জয়াসুরিয়া ৫৬ রানে পান ৩ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট শিকার করেন জয়াসুরিয়া।
ব্যাটিংয়ে চার সেঞ্চুরির পর বোলিংয়ে জয়াসুরিয়ার ১০ উইকেট শ্রীলঙ্কাকে এনে দিয়েছে ইতিহাস গড়া জয়। এর আগে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় ছিল ২৫৪ রানের, ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেটি ছাপিয়ে গল লিখলো নতুন মহাকাব্য। ইনিংস ও ২৮০ রানের জয়।