টাইব্রেকারে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে কোপার সেমিফাইনালে পেরু

কোপা আমেরিকার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে দুর্দান্ত লড়াই দেখল ফুটবল ভক্তরা। পেরু ও প্যারাগুয়ের মধ্যকার ছয় গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচটিতে নির্ধারিত সময়ে ফল আসেনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুটআউটে শেষ হাসি হেসেছে পেরু। টাইব্রেকারে প্যারাগুয়েকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠেছে পেরু।
আজ শনিবার ভোরে অনুষ্ঠিত কোপার শেষ আটের প্রথম লড়াইটিতে প্যারাগুয়ে ও পেরুর মধ্যকার ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলে ড্র হয়। এরপর পেনাল্টি শুট আউটে ৪-৩ গোলে জিতেছে গতবারের রানার্সআপ পেরু।
গোইয়ানিয়ার অলিম্পিকোয় ম্যাচটিতে বেশিরভাগ সময় দখলে রেখে ১২বার শট নেয় পেরু। যার মধ্যে ছয়টিই হলো অনটার্গেট শট। প্যারাগুয়ে এর চেয়ে বেশিবার আক্রমণ করেছে। ১৪ বার শট নেওয়া প্যারাগুয়ের অনটার্গেটে যাওয়ার মতো ছিল আটটি।
ম্যাচটিতে গোল শুরুতে গোল করেছেন প্যারাগুয়ের গুস্তাভো গোমেস। ১১ মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেন তিনি। তবে এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাল্টা আক্রমণে পেরুকে সমতায় ফেরান জানলুকা লাপাদুলা। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে আন্দ্রে কারিয়ো একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলমুখে বল বাড়ান। সেখান থেকে বাঁ পায়ের প্রথম ছোয়ায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন লাপাদুলা।
এরপর ৪০ মিনিটে লাপাদুলার হাত ধরেই এগিয়ে যায় পেরু। দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে সমতায় ফেরে প্যারাগুয়ে। কর্নারে পেরুর রক্ষণ বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জোরালো উঁচু শটে গোলটি করেন জুনিয়র আলোনসো।
৮০ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় পেরু। ইয়োতুনের দূর থেকে নেওয়া শট একজনের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। পাঁচ মিনিট বাদে ফের সমতা পেয়ে গেলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে দুই দলেরই প্রথম দুই শটে গোল হয়। প্যারাগুয়ের তৃতীয় শট নিতে এসে উড়িয়ে মারেন মার্তিনেস। সান্তিয়াগো ওরমেনোর নেওয়া পেরুর তৃতীয় শট ঠেকান গোলরক্ষক আন্তোনি সিলভা। প্যারাগুয়ের চতুর্থ শটেও উড়িয়ে মারেন ব্রায়ান সামুদিও। তবে পেরুর চতুর্থ শট জালে পাঠিয়ে ব্যবধান বাড়ান রেনাতো তাপিয়া।
এরপর প্যারাগুয়ের পঞ্চম শটে বল জালে পাঠিয়ে লড়াই জিইয়ে রাখেন রবের্ত পিরিস। পেরুর ক্রিস্তিয়ান কুয়েভো লক্ষ্যভেদ করতে পারলে সেখানেই জয় নিশ্চিত হতো, কিন্তু তার শট রুখে দেন গোলরক্ষক সিলভা। দুটি শট ঠেকিয়ে নায়ক হতে পারতেন তিনি। কিন্তু সাডেন ডেথে হতাশ করেন তার সতীর্থ আলবের্তো এসপিনোলা। তাঁর শট ঠেকিয়ে ম্যাচ ঘুরে দেন পেরুর গোলরক্ষক। এরপর পেরুর মিগুয়েল ত্রাওকো লক্ষ্যবেধ করতে পারলে জয় নিশ্চিত হয় দলটির।