মরক্কোর রূপকথায় রোনালদোদের বিদায়

বিশ্বকাপ শুরুর আগে কেউ যদি বলতো, মরক্কো সেমিফাইনাল খেলবে, নিশ্চয়ই প্রলাপ ভেবে এড়িয়ে যেতেন! মরক্কান ভক্তদেরই জিজ্ঞেস করুন, তারাও কি এতটা ভেবেছিল? ভাববার কথাও নয়। এটিই বিশ্বকাপ।
কাতার বিশ্বকাপ জাগতিক সব চমক নিয়ে হাজির। আপাত শেষ চমক দিল মরক্কো। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার সেমিফাইনালে উঠল আফ্রিকান দেশটি।
এর আগে কখনও কোয়ার্টার ফাইনালে না খেলা মরক্কো শুরু থেকেই চেপে ধরে পর্তুগালকে। সুইজারল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়া দলটাই খাবি খেয়েছে মরক্কান ডিফেন্স ভাঙতে। জোয়াও ফেলিক্স, গনসালো রামোসরা চেষ্টা করেও ভাঙতে পারেনি গোলমুখ।
মুদ্রার উল্টোপিঠে ম্যাচের ৪২তম মিনিটে সাজানো একটি দলগত আক্রমণ থেকে গোল করে মরক্কোকে এগিয়ে নেন এন-নেসারি। বাম প্রান্ত থেকে ইয়াহিয়া আত্তিয়াতের ক্রস খুঁজে নেয় নেসারির মাথা। সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি মরক্কান সেন্টার ফরোয়ার্ড। এরপর বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পর রোনালদোকে মাঠে নামায় পর্তুগাল। কাজের কাজ কিছু হয়নি। বরং আরও কয়েকটি আক্রমণ শানিয়েছে মরক্কো। বেশিরভাগ সময় বল পর্তুগালের পায়ে থাকে। শতাংশের হিসাবে ৭৪ শতাংশ বল দখলে রাখে পর্তুগাল, করে ১২টি আক্রমণ। একদম শেষাংশে পেপের হেড বারপোস্ট ঘেঁষে চলে যায়, সঙ্গে পর্তুগালের জয়ও বোধ হয় বেরিয়ে যায় বার ঘেঁষে।
পর্তুগালের বিদায়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শেষটা রঙিন হলো না। ৯৩ মিনিটে মরক্কান ফুটবলার চেডিরা লাল কার্ড খাওয়ার পরের ৫ মিনিট মরিয়া হয় পর্তুগাল। শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠা হয়নি। আল থুমামা স্টেডিয়ামে রূপকথার জন্ম সেমিফাইনালে উঠল মরক্কো, যা কেউ কখনও ভাবেনি। অন্যদিকে হতাশায় চোখের জলে মাঠ ছাড়লেন পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদো।