শ্রীলঙ্কাকে দ্রুত থামানোর লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ

ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনটাও নিজেদের করে নিতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু অনেকগুলো সুযোগ হাতছাড়ার কারণে সেটা হয়নি। দ্বিতীয় দিন প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে লড়াইয়ের আভাস দিয়ে রেখেছে লঙ্কানরাও। তবে অতিথিদের লড়াই জমে ওঠার আগে তাদের দ্রুত থামানোই এখন মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের। সেই লক্ষ্যে আজ বুধবার টেস্টের তৃতীয় দিন মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।
গতকাল মঙ্গলবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল দুই উইকেটে ১৪৩ রান। দিন শেষে উইকেটে ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন দিমুথ করুনারত্নে। তাঁর সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন কাসুন রাজিথা।
আউট হওয়া দুই ব্যাটারদের মধ্যে ওপেনার ওসাদা ফার্নান্দো করেছেন ৫৭ রান আর কুশল মেন্ডিস করেছেন ১১ রান। ২২২ রানে পিছিয়ে থেকে আজ বুধবার টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করেছে সফরকারীরা।
কাল দ্বিতীয় দিনের চিত্রটা আরেকটু ভিন্ন হতে পারতো। আরেকটু স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারতেন মুমিনুলরাও। কিন্তু নিজেদের ভুলে লঙ্কানদের চাপে ফেলার বড় সুযোগ হাতছাড়া করলেন তাঁরা। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শুরুতেই ওসাদা ফার্নান্দোর ক্যাচ মিস করেন সাকিব আল হাসান। ক্যাচ মিস করার পাশাপাশি আঙুলে কিছুটা ব্যথাও পান সাকিব।
এরপর করুনারত্নেকে ফেরানোর সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ইবাদত হোসেনের ফুল লেন্থের বল খেলতে গিয়ে মিস করেন লঙ্কান অধিনায়ক। বল গিয়ে লাগে প্যাডে। বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা আবেদনও তোলেন কিন্তু সাড়া দেননি আম্পায়ার। তখন রিভিউ নিলে ঠিকই আউট হতেন করুনারত্নে। টিভি রিপ্লেতে সেটা স্পষ্ট দেখা যায়। কিন্তু বাংলাদেশ রিভিউ না নিয়ে সুযোগ হাতছাড়া করে। এর কিছুক্ষণ বাদেই সহজ ক্যাচ মিস করে লঙ্কান অধিনায়ককে আরেকবার জীবন দেন মাহমুদুল হাসান জয়। এতগুলো সুযোগ মিস করার দিনে কিছুটা হতাশা নিয়েই দিন শেষ হলো বাংলাদেশের।
এর আগে টেস্টের দ্বিতীয় দিন মুশফিকুর রহিমের লড়াইয়ের পর প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত মুশফিক নিজে খেলেছেন ১৭৫ রানের ইনিংস। ৩৫৫ বলে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ২১টি বাউন্ডারি দিয়ে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানটা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই।
এ ছাড়া আগের দিন থিতু হয়ে যাওয়া লিটন খেলেছেন ১৪১ রানের ইনিংস। ২৪৬ বলে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১৬ বাউন্ডারি ও এক ছক্কা দিয়ে।
মাঝে ব্যাট করতে নেমে ভালো করতে পারেননি দীর্ঘদিন পর ফেরা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাইজুল কিছুটা সঙ্গ দিয়েছেন মুশফিককে। ৩৭ বলে দুই বাউন্ডারিতে ১৫ রান করেন তিনি। খালেদ আহমেদ রানের খাতা খুলতে পারেননি। থিতু হওয়ার চেষ্টা করে ইবাদতও শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন শূন্যতে।