আরেকটি লজ্জার রেকর্ডে বাংলাদেশের নাম

প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রান। জয়ের জন্য না হোক, অন্তত ড্রয়ের জন্য যথেষ্ট। তবে ম্যাচ শেষে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ। সাব্বিরের হাফ সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬০ রান করে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানের লিড থাকায় ম্যাচ জিততে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ২১৭ রান। ৪০ ওভারেই ম্যাচটা জিতে নেয় স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান করে হারের এই লজ্জার রেকর্ডে এখন থেকে লেখা হবে বাংলাদেশের নাম।
টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রানের বেশি হয়েছে ৭৬ ইনিংসে। ৩৮ বারই জয় পেয়েছে দলগুলো। ড্র হয়েছে ৩৭ ম্যাচ। বাংলাদেশই প্রথম দল, যারা কি না প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রান করেও হারল।
এর আগে ১৮৯৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিডনিতে ৫৮৬ রান করে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে সাড়ে পাঁচশ রানের বেশি করে হারের রেকর্ড আছে আর তিনটি। ১৯৭৩ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার ৪৪১ রানের জবাবে ৫৭৪ রান করেছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বীরত্বে আর পেসারদের দাপটে ৯২ রানে হেরে বসেন জহির আব্বাসরা। পরের ঘটনাটি ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়া-ভারত টেস্ট সিরিজের। রিকি পন্টিংয়ের ২৪২ রানে ভর করে ৫৫৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে রাহুল দ্রাবিড়ের দ্বিশতকে ৫২৩ রান করে ভারত। অজিত আগারকার ৬ উইকেট নিলে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৬ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। দ্রাবিড়ের আরেকটি দুর্দান্ত ইনিংসে চার উইকেটে জয় পায় ভারত।
সর্বশেষ ঘটনাটি ২০০৫ সালে অ্যাশেজে। পল কলিংউডের ২০৬ ও কেভিন পিটারসেনের ১৫৮ রানের সুবাদে ৫৫১ রান করে ইংল্যান্ড। তবে শেন ওয়ার্ন ম্যাজিকে ১২৯ রানেই শেষ হয় ইংলিশদের দ্বিতীয় ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
আরো একটি লজ্জার রেকর্ডের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটি হলো, সবচেয়ে বেশি রানের জুটি গড়ে হারের রেকর্ড। এর আগে পরাজিত হওয়া ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রানের জুটিটা ছিল মোহাম্মদ ইউসুফ ও ইউনুস খানের। ২০০৬ সালে লিডসে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৬৩ রানের জুটি গড়েন এ দুই তারকা ব্যাটসম্যান। এ রেকর্ডেরও কাছে চলে এসেছিল বাংলাদেশ। ওয়েলিংটনে ৩৫৯ রানের জুটি বাঁধেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। মাত্র কয়েকটা রানের জন্য শেষপর্যন্ত ভাঙেনি ইউসুফ-ইউনুসের জুটির রেকর্ডটি।
প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে হারের নজিরও খুব বেশি দেখা যায় না। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন ঘটনা দেখা গেল মাত্র ১৪তম বারের মতো। দক্ষিণ আফ্রিকা তিনবার, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুবার করে এই রেকর্ড গড়ে।