গভীর থেকে গভীর সংকটে ফিফা

গত সপ্তাহে ফুটবল-দুনিয়ায় তোলপাড় ফেলে দিয়ে ফিফার সাত শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে সুইস পুলিশ। তার দুদিন পর দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগের টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই হয়েছে ফিফার সভাপতি নির্বাচন। পঞ্চমবারের মতো ফুটবল-বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতার আসনে বসেছেন সেপ ব্ল্যাটার। কিন্তু ফিফার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে। নাম উল্লেখ করা না হলেও অভিযোগের আঙুল উঠছে ব্ল্যাটারের প্রধান সহযোগী ফিফার মহাসচিব জেরম ভালকের বিরুদ্ধেও।
নিউইয়র্কের একটি আদালতে ভালকেকে বর্ণনা করা হয়েছে একজন ‘উচ্চ পর্যায়ের ফিফা কর্মকর্তা’ হিসেবে। এবং বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে তিনি এক কোটি ডলার ফিফার সাবেক সহসভাপতি জ্যাক ওয়ার্নারের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছিলেন। অবশ্য ভালকের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি।
ফিফার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই এক কোটি ডলারের লেনদেন হয়েছিল ফিফার তৎকালীন অর্থবিষয়ক কমিটির সভাপতি হুলিও গ্রন্দোনার তত্ত্বাবধানে। ভালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর ফিফা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী শনিবার থেকে কানাডায় শুরু হতে যাওয়া মহিলা বিশ্বকাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মহাসচিব উপস্থিত থাকবেন না।
এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ফিফার সাবেক সহসভাপতি জ্যাক ওয়ার্নার তোপ দেগেছেন ব্ল্যাটারের দিকে। জার্মানির স্টার্ন ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ত্রিনিদাদিয়ান বলেছেন, ‘এশিয়া বা ইউরোপকে নিয়ে কেন কোনো তদন্ত করা হচ্ছে না? সেপ ব্ল্যাটারের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত হচ্ছে না কেন? আর কোনো ব্যক্তি তাঁর মতো ফিফাকে এতটা কলঙ্কিত করেনি।’