বৃষ্টির বাগড়ায় ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিনও

বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনের খেলা ১৯ ওভার আগেই শেষ হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে তাই তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল আধা ঘণ্টা আগেই। কিন্তু সেই বৃষ্টির কারণে খেলা আগে তো শুরু হয়ইনি, কখন মাঠে গড়াবে, তা এখন নিশ্চিত করা বলা মুশকিল।
কারণ, হেগলি ওভালে অনবরত বৃষ্টি হচ্ছেই। তাই পিচ ও মাঠের অনেকটা অংশ কাভার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। দুই দল, আম্পায়ার ও কর্মকর্তারা মাঠে আসার পরও খেলা শুরু করতে পারেননি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ক্রাইস্টচার্চে আজ ও আগামী দুদিনও বৃষ্টি হবে। তাই এখন ম্যাচের ভবিষ্যৎ কী, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এর আগে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২৮৯ রান করে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রান করলেও এখনো তারা ২৯ রানে পিছিয়ে।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের প্রথম দুটি সেশনে পিছিয়ে থেকেও সাকিবের উপর্যুপরি আঘাতে শেষ সেশনে খেলায় ফিরে আসে বাংলাদেশ। তিন উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন সাকিব। হেনরি নিকোলস ও মিচেল স্যান্টনারের জুটিতে যখন বড় লিডের স্বপ্ন দেখছিল নিউজিল্যান্ড, ঠিক সে সময় আঘাত হানেন সাকিব। মাত্র চার রানে তিনজন কিউই ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ভালোভাবে ফিরিয়ে আনেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
দলীয় ২৫২ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্যান্টনারকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। এরপর চার রানের ব্যবধানে বিজে ওয়াটলিংকে বোল্ড করেন বাংলাদেশের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন সাকিব। স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ না হতেই কলিন ডি গ্রান্ডহোমকেও ফেরান এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
এর আগে স্যান্টনার ও নিকোলসের ৭৫ রানের জুটিতে লিডের স্বপ্ন দেখছিল স্বাগতিকরা। দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় সাত উইকেটে ২৬০ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। হেনরি নিকোলস ৫৬ ও টিম সাউদি ৪ রানে অপরাজিত আছেন।
আগের দিন প্রথম সেশনে ৪৭ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা নিউজিল্যান্ড টম ল্যাথাম ও রস টেলরের ব্যাটে বড় রানের স্বপ্ন দেখছিল। তবে স্বাগতিকদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দেন তাসকিন আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ভয়ংকর হয়ে ওঠা ল্যাথাম-টেলরের ১০৬ রানের জুটিটা ভাঙেন তাসকিন। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে ৬৮ রান করেন ল্যাথাম। এরপর আরেক বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান রস টেলরকে ফেরান মিরাজ। মিডঅনে তাইজুলের তালুবন্দি হওয়ার আগে ১০৩ বলে ৭৭ রান করেন টেলর।